কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে-
অভিমন্যুর পুত্র পরীক্ষিৎকে যুধিষ্ঠির
বসালেন হস্তিনার রাজ সিংহাসনে;
তারপর, যাত্রা করলেন যুধিষ্ঠির মহাপ্রস্থানের পথে,
রাজ্য শাসনভার পরীক্ষিৎকে দিয়ে।


যুধিষ্ঠির মহাপ্রস্থানেরর পথে-
পিছে তাঁর চতুর্ভ্রাতৃ আর দ্রৌপদী,
অশ্রুসিক্ত নয়নে- বহু দূর পথ এসে
বিদায় দিলেন হস্তিনাবাসী;
হস্তিনাবাসী গেল ফিরে-
কিন্তু একটি কুকুর ছাড়ল না যুধিষ্ঠির পিছু,
হেঁটে চলছে সেই কুকুর যুধিষ্ঠির পিছু পিছু।


অবশেষে চতুর্ভ্রাতৃ আর দ্রৌপদী- উপস্থিত হলেন
হিমালয়ের অতিদুর্গম স্থানে,
পথশ্রমে আর শীতল প্রতিকূলতায় প্রাণ হারাল
সবে, একে একে;
আর যুধিষ্ঠির পিছনে ফিরে দেখল না তাঁর
চতুর্ভ্রাতৃ আর দ্রৌপদীকে,
মহাপ্রস্থানের যাত্রীদের ফিরতে নেই পিছনে।


ভগবানের নাম করতে করতে জপ,
যুধিষ্ঠির চলতে লাগলেন মহাপ্রস্থানের পথ;
তখনও সেই কুকুর ছাড়েনি তাঁর পিছু-
তারঁ মহাপ্রস্থানেরর পথ।


অবশেষে হঠাৎ,
দেবরাজ ইন্দ্র রথ সহযোগে উপস্থিত হলেন-
যুধিষ্ঠির সামনে;
বললেন দেবরাজ ইন্দ্র-
"তোমার চতুর্ভ্রাতৃ আর দ্রৌপদী,
তারা চলে গেছে স্বর্গ;
এবার চলো আমার সাথে, তোমাকে স্বর্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিয়ে এসেছি রথ;"
যুধিষ্ঠির শেষ সংগী কুকুরকে ছেড়ে স্বর্গে যেতে
দিলেন না তাঁর কোন অভিমত।


ধর্মরাজ, নিজে কুকুররূপে পাণ্ডবগণের হয়েছিলেন সংগী;
পরিশেষে- কুকুররূপী ধর্মরাজ স্বরূপ ধারণে বললেন- বৎস, তোমার সমান ধার্মিক ও আশ্রিত আর কেউ নেই ত্রিভূবনে,
এখন তুমি চিত্ত হরষে যাও সশরীরে স্বর্গ;
ত্রিভূবন হোক তোমার মহিমায় উদ্ভাসিত।


রচনাকাল : ২৯ জুন, ২০১৭ইং