এক নির্জন উপবন
চন্দ্রালোকে আবৃত |
যুবতিটি গাইছিল একাগ্রতায়,
চলিতেছিল সংকীর্ণ সরণি ধরিয়া ।
কি জানি তাহার হৃদয়ে কি ছিল !
বাঁশির করুন সুরে স্তব্ধিয়া গেল তাহার স্বর,
থমকিয়া দাঁড়াইল কদমের তলে ।
হঠাৎ এক অচেনা স্পর্শ !
তাহার সর্বাঙ্গ শিহরণ খেলিয়া গেল ।
এ যে এক অচেনা অনুভূতি !
এ কি ! এযে এক যুবক রাজপুত্তুরের ন্যয় !
খুব কাছাকাছি,
দুইজনার দুই নেত্রে অধীর আগ্রহ ,
যেন দুজনাই স্পর্শিতে চায় তাহাদের সর্বাঙ্গ,
যেন পাইতে চায় ক্ষনিকের সেই চরম মুহূর্তের আরাম ।
রাত্রি চলিয়া গেল নিজস্ব নিয়মে ঘড়ির কাঁটার হৃদে ভর করিয়া ,
তন্দ্রা টুটিয়া গেল রাত্রির প্রান্তে,
স্বপন হারাইয়া গেল বহুদুরে,
ডায়েরির পৃষ্ঠায় একটা কবিতা হইয়া গেল !

-(20/05/2010)