১/আলঝেইমার্স
———————
খুব ভুলে যাই । আলঝেইমার্স হয়েছে হয়তোবা ।
লোকগুলো এলে তাদের বলেছিলাম ভাড়া কিঞ্চিত কম দিন –
একটু পরে ভুলে গিয়ে বলেছি ভাড়া দেবেন না । কিন্তু আপনার বাড়ির সামনে যে পিচফলের ক্ষেত আছে সেখান থেকে কিছু জোনাকি এনে দেবেন কিংবা শুয়ে আছে যে কর্কট রোগ আমার শয্যার পাশেই তাকে ওরস্যালাইন দিলে তাৎক্ষণিক মারা যাবার সম্ভাবনা আছে । রেডিও থেরাপী দেয়া হোক পৌষ এলে এবং গ্রীষ্মে দেয়া হোক এক্সরে টেবিলের গোলাকার মুখ –
আমার অবশ্য আজকাল আলঝেইমার্স হয়েছে – যেমন ভুলে গিয়েছিলাম যে তোর সাথে কথা ছিলো ফিজিতে সমুদ্রের পাশে একটা কুটির করার কথা আর রাত হলে গহীন সমুদ্রে ভেলা ভাসিয়ে মাছ ধরার প্রাসঙ্গিকতা –
অথচ কর্কট রোগটা কান থেকে বুক অবধি নেমে এসেছে –

২/ফারিশতাদের ঘরের দরজা
—————–


গত মাসে পাঁচটা ঘুমের বড়ি খেয়েছিলাম । সে যখনই মুঠোফোনে নক দেবে এবং তুমি সামনে বসে চুমু খাবে সারল্যের
তখন কি করে বলি আমার আত্মা খরায় হয়ে গেছে চাকনাচুর –খুলে গেছে প্রতিটি ফুলের পাপড়ি – অথচ বর্ষন যেনো মায়াহরিণ –
ওই পারের যমুনা নদীতে কাড়ি কাড়ি টাকা – বোল্ড খুলে – আনে – নেয় – আর গরম এলে এসিতে ঠান্ডা করে শরীরের রোমকূপ –
আমি তৃষিত হৃদয়ে থাকি । অথবা আমরা চেয়ে থাকি । আমাদের তো খরায় নদী শুকিয়ে বালির রাস্তা – ঠোটঁ আর মায়ের চোখের পাতায় আটকে থাকে ঐ ফারিশতাদের ঘরের দরজা —
২৬।১।১৭


৩/গীতল মুদ্রা


———–
তবু কান্ড ধরে চলো আমি শেকড়  –
যা কিছু ছিলো বাকল বলে
ধুর ধুর করে ছি ছি বলেছো মুখে –
অথচ অর্থহীনতায় অর্থ খুজেছো আমি বাকলে –
স্কুল ব্যাগে রেখে এসেছি গীতল কিছু মুদ্রা
দেখো নি আহা –


কেউ নেই থাকে না
বলে মাথার সব চুল
উপড়ে ফেলেছো
স্কন্ধে তবু হাত রেখে বলেছি
ভালোবাসি তো ভীষোন হে প্রিয় –