কাঁদো স্বদেশ কাঁদো, প্রান খুলে কাঁদো
তুমি যখন কাঁদবে বাঁচার আকুতিতে;
আমি তখন আনন্দের নগ্ন নৃত্য করবো।
যখন কেউ সমাজকে ভুলে ব্যস্ত হবে নিজেকে নিয়ে,
তখন আমি তাকে সামাজিক ভাববো।
যখন সর্বত্র বিবেকহীন মানুষের ছড়াছড়ি দেখবো,
তখন আমি সমাজটাকে শিক্ষিত ভাববো।
ক্ষুধার্থ শিশুর কান্নার আওয়াজ যখন বাতাসে ভাসবে,
তখন আমি সহস্র টন খাবার জলে ফেলবো।
যখন কেউ প্রতরণাটা করবে অতি স্বাভাবিকতায়,
তখন আমি তাকে র্স্মাট ভাববো!
যখন তারুণ্য কলম-রামদা হাতে ছুটবে সমান্তারাল,
তখন আমি তাদের ছাত্র বলবো।
রক্তস্রোতে যখন রাজপথ ভাসবে,
তখন আমি নীরব দর্শক হয়ে মজা লুটবো।
যখন ছিন্নভিন্ন দেহের উপস্থিতি হবে সর্বত্র,
তখন আমি স্বদেশকে নিরাপদ ভাববো।
ধর্ষীতা যখন কেঁদে বুক ভাসাবে,
তখন আমি তার শরীরের অবয়ব ভেবে পুলকিত হবো।
ধর্ম বিদ্বেষী যখন ধর্মকে গালি দিবে,
তখন আমি তাকে মুক্তমনা উপাধি দেব!
ধর্মের নামে বাতাসে যখন চাপাতির ঝনঝনানি বাজবে,
তখন আমি বুক ফুলিয়ে বাহবা বলবো।
নিরাপত্তার দোহায় দিয়ে যখন আমাকে বাকরুদ্ধ করা হবে,
তখন আমি তাকে স্বাধীনতা বলবো!
অত্যাচারিতের আত্মচিৎকার যখন আকাশ-বাতাস বিদীর্ণ করবে,
তখন আমি উটপাখির মতো বালুতে মাথা গুজবো।
কাঁদো স্বদেশ কাঁদো, প্রান খুলে কাঁদো
আমি জিরাফের মতোই মাথা তুলে দাড়িয়ে রবো সগৌরবে!