বিকালের সূর্যটা যখন নিভু-নিভু
বসে থাকি আমি একা নির্জনে
কল্পনার জগৎ জুড়ে খেলা করে তখন নানা রং;
হাজারো সুখ স্বপ্নের ভীড়ে সবচেয়ে উজ্বল-
বসন্তী শাড়ি পরা কোন উচ্ছ্বল এক তরুণী।


হাতের কাচের চুড়িতে তোলে সে রিমিঝিমি ঝঙ্কার,
রক্ত জবার আভায় মাখা অধরে এক চিলতে মিষ্টি হাঁসি,
হরিণীর মতো কাজলকালো চঞ্চল দু'টি আঁখি,
হেমন্তী বাতাসে কালো কেশের উত্তাল প্রাণবন্ত ঢেউ;
যেন হাজার বছরের চেনা সে আমার কেউ।
আমি বিস্ময়ে বিমুগ্ধ হই অপলক দৃষ্টিতে,
ডুবে যাই যেন অদ্ভুৎ নেশার ঘোরে।


সময়ের স্রোত বয়ে ধরায় আধার নামে
নীড়ে ফেরা পাখিদের কলতান থেমে যায়
সোডিয়ামের উজ্বল আলো জ্বলে উঠে শহর জুড়ে;
কল্পনাগুলো ঝপসা হয়ে যায় মিথ্যার হাতছানিতে-
চাকচিক্যের মাঝে গড়া ছলনাময় এই শহরটাতে।


তবু জীবনটা বয়ে চলে অশান্ত ঢেউয়ের মাঝে
অবার বিকাল আসে, দু'চোখে স্বপ্ন নামে।