সুন্দর বনের হরিণদের কাছে হঠাৎ এল এক দুঃসংবাদ,
তাদেরকে বন থেকে তাড়ানোর নাকি করছে মহাপরিকল্পনা,
     বনেরই কিছু লেজকাটা শেয়াল হয়ে জোটবদ্ধ।
এখন থেকে বনে থাকবেনা কোন দেশী প্রজাতির ঘাস,
       সেখানেই নাকি চাষ হবে অস্টেলিয়ান ঘাস।
হরিণেরই শালায় গড়ে তোলা হবে গাধা আর আফ্রিকান জিরাফের আবাস।


এ খবর শুনে নিরীহ শান্ত হরিণেরা হল মহাক্ষুব্ধ,
সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নিল তারা হবে জোটবদ্ধ।
           করবে এ ষড়যন্তের প্রতিবাদ,
      নয়ত তাদের হবে যে এক মহাসর্বনাশ।
পরবর্তি প্রজন্মের হরিণেরও থাকবেনা সুন্দরবনে আবাস,
তারা খাবার হিসাবেও পাবে নাকো কোন দেশী ঘাস।
তাই তারা এক হয়ে শুরু করল এ দুষ্ট সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ।


শেয়াল সমাজ সুকৌশলে স্তব্ধ করতে চাইলো সে প্রতিবাদ।
    কিন্তু হরিণ সমাজ হলো নাকো তাতে বিভ্রান্ত,
           তারা হলো আরো বেশী জোটবদ্ধ,
              করল আরো বেশী প্রতিবাদ।


তাই লেজকাটা সে সকল শেয়েলেরা হল মহাক্ষুব্ধ-
                  হল মহা নির্লজ্জ।
         হামলা চালালো খাটাশদেরকে নিয়ে-
                 হরিণের সমাবেশে।
          ক্ষত-বিক্ষত হল শত হরিণ-হরিণী -
                  সে নিষ্ঠুর হামলাতে।


   কিন্তু তাতেও হরিণদের হলোনাকো কন্ঠ রুদ্ধ,
             হরিণরা হলোও নাকো স্তব্ধ।


(দরিদ্র, নিন্ম-মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানেদের  উচ্চশিক্ষার অধিকার সুরক্ষার দাবি নিয়ে গড়ে উঠা আলোড়ন সৃষ্টিকারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরনকালের সর্ববৃহৎ ছাত্র অন্দোলন এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তে সংঘটিত ঘটনা প্রবাহ নিয়ে সেই সময় সম্পূর্ণ অপরিপক্ব হাতেই লিখেছিলাম আমার তৃতীয় কিংবা চতুর্থ এই কবিতাটি)