তোমার সাথে দ্যাখা হওয়ার পর,
ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকবো
দুজন-দুজনার দিকে।
তুমি আমায়, আমি তোমায় দ্যাখবো- তবুও,
কোনো একটা শব্দ বিনিময় হবে না।
বাক্যালাপ ছেড়ে, হৃদ স্পন্দন দিয়ে
কী বলতে চাচ্ছো, কী বলতে চাচ্ছি- তা আঁচ করবো।


ছলছল তোমার আঁখি দুটি বিরহের ডাকে
ঝরাবে তার নিষ্পাপ প্রেমের অশ্রু।
আমারও একই অবস্থা হতো- কিন্তু বিধাতার বিধান
পুরুষের কাঁদতে মানা, এ সত্য মন মানতে চায় না।
এ মন চায়, তোমাকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদবে।
সান্ত্বনার ছলে তুমি পিঠে-মাথায় হাত বুলিয়ে দিবে।


এইটুকুই চায়, আমার দুঃখে ভারাক্রান্ত মন।
কেবল ভেবেই মরছে তোমাকে সারাক্ষণ।


যখন আসবে লগ্ন, চলে যাওয়ার পালা
তুমি দু-হাতের তালুতে আঁখি মুছে ফিরে যাবে
আমার উল্টো দিকে, যেদিকে আমার যাওয়া বারন।
আমারও চলে যেতে হবে আবার সেই দুঃখের বেড়া,
কষ্টের চালার বিরহের বদ্ধ ঘরের দিকে।


কী আর করার!
না ভাগ্য সহায় হয়, না হয় বিধাতা।
সাময়িক সাক্ষাৎ পুরো জীবন জুড়ে অস্থিরতা।


শেষ পেনাল্টি শুটের দায় কাঁধে নিয়ে
গোনসালো মন্তিয়েলের মতো-
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে, চলে যাবো-
যেতে তো হবেই দ্যাখা হওয়া-না হওয়ার অনিশ্চয়তা নিয়ে।