অকূল নদীর পারে আমরা মাঝেমাঝেই রচি ইন্দ্রপুরী, সে বাড়ি জিনিষপত্রের অধরা ।  সেখানে শুধুই জানালার এ পাশে অথই সমুদ্র । প্রবালরত্ন দিয়ে আমরা সাজাই নীল আলোর বেডরুম, যদিও সেইবার তুমি চেয়েছিলে গোলাপী। বড় নিষ্ঠুর রঙ, আমি বলেছিলাম, প্রথম রাতের চাঁদের মত চোখ কেটে বসে যায়। এত অবিবেক বর্ণনা তোমার সহ্য হয়নি, অভিমান করে বলেছিলে, তুমি বড় নিষ্ঠুর, নীল। আমি স্টুডিওতে সেইবার তোমার একটা কাটা মূর্ত্তি যত্নে সাজাচ্ছি, সুন্দর না হলে আমাদের আর কী? তা’ও তোমার পছন্দ হয়নি, এ বাড়িতে আলো কই, শুধু দেয়াল।  কোন্ অবরুদ্ধ স্মৃতি কক্ষে তোমার মূর্ত্তি আমি রেখেছি, জানতে চেয়ে তুমি বলে উঠেছ, “ইনশাল্লাহ” । তখন আমি তোমার ছবি সাজিয়েছি, ময়ুরকন্ঠী রঙে, যে রঙটা আমরা পরের বার দেবো ভেবেছিলাম । সেখানেও তোমার অপছন্দ, বলে উঠলে তুমি বড় সুন্দর, নীল। এত সুন্দর, যেন চোখ কেটে বসে যায়। এর পরের বার, ঘরটা সবুজ করে দিও।