মহিমাময় আল্লাহর আমন্ত্রন নিয়ে এলো জিবরীল মক্কায়            
জাগায়ে ঘুমন্ত নবীরে (সঃ) বলেন আগমনের অভিপ্রায়।


রাসূল (সঃ) দুই রাকাত নফল নামাজ করলেন সমাপন  
ফেরেশ্তা প্রস্তুত করে দেহ তাঁর, করতে মহাশূন্য ভ্রমন।


শোয়ায়ে রাসূলের বক্ষ মোবারক করা হলো বিদারণ
বের করে কল্ব ধৌত করা হলো দিয়ে আবে যমযম।


অতঃপর হাউজে কাউসারের পানিতে গোসল করায়ে
প্রজ্ঞা এবং নূর ঢেলে ধন্য বুকটা দিল যে সম্পূর্ণ ভরায়ে।

বোরাকে চড়ে নবীর আলোর গতিতে, ইসরা হলো নৈশভ্রমণ
হারাম থেকে আকসা পৌঁছে নবীদের নামাজে ইমামতি গ্রহণ।


জিবরীল নবীজীরে লয়ে ভুমি হতে আসমানে করেন আরোহণ  
ভ্রমণের এ অংশ মিরাজ, স্রষ্টার সাক্ষাতে পরম বন্ধুর ঊর্ধ্বগমন।
    
প্রথম হতে ক্রমান্বয়ে সপ্তাকাশে ফেরেশতা ও নবী-রাসূলগণ        
আলাপচারিতায় হাবীবে খোদারে (সঃ) জানান সালাম সম্ভাষণ।

স্বচক্ষে দর্শন মহাজগৎ স্বর্গ-নরক, স্রষ্টার মোজেজা অপরিসীম  
সিদরাতুল মুনতাহা পৌঁছে জিবরীল কয়, যাত্রা নয় মোর অসীম।  

প্রভুর প্রেমে একাই রাসুলে আকরাম (সঃ) এতটা উর্ধ্বে যান      
তখন লাওহে মাহফুজে কলম চালনার আওয়াজ শুনতে পান।

দিগন্ত বেষ্টিত সবুজ রঙের রফরফে, হয়ে প্রিয় নবীজী আসীন  
সত্তর হাজার নূরের পর্দা ভেদ করে, পৌঁছেন আরশে আজিম।  


পরাক্রমশালী রব-বন্ধুর নিবিড় সান্নিধ্যে, কথা হয় আদান প্রদান        
উম্মতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, সেরা উপহার করেন দান।  


ইসরা ও মিরাজের ঘটনায় ছিলো খোদার অলৌকিক দৃষ্টিভঙ্গি  
চৌদ্দ শত বছর আগে অবিশ্বাসীদের, না বোঝার ছিল অঙ্গভঙ্গি।


প্রশ্ন উঠেছিল কিভাবে আনবো বিশ্বাস, নবীর দেয়া বর্ণনার দৃশ্য      
এতো স্বল্প সময়ে রাসূলের কি সম্ভব, ভ্রমন করা সমগ্র মহাবিশ্ব?      

আলবার্ট আইনস্টাইনের আবিষ্কৃত “সাধারণ আপেক্ষিকতা তত্ত্ব”
রাসূলের ইসরা ও মিরাজের ঘটনা প্রমাণ করে সুত্রটি নিরেট সত্য।