সুসজ্জিত চোখ ধাঁধানো পরিপাট্য সভ্য শহরে
শুনশান কোলাহলহীন রাতের আঁধারে
অলিতে গলিতে থপথপ, ধপধপ, টুপটাপ
বিচিত্র অদ্ভুত, ছোট বড় শব্দ কানে বাজে।


বিশাল বিশাল অট্টালিকার পেছনের বস্তিতে
প্লাস্টিকের ছোট্ট স্যাঁতসেঁতে ঝোপর ঘরে গরীবদের বাস  
যেথা রবির আলোও ভীত সন্ত্রস্ত  প্রবেশে
তবুও বেঁচে অল্প কিছু রোজগেরের আশায়।

সভ্য নাগরিক, ফিটফাট আভুষণ
উঁচুউচুঁ বিচার, মেজাজও বেশ খাসা
তবুও রাতের আঁধারে ধপধপ থপথপ
বেচারা নিশাচর প্রাণীদের বিশ্রামে নিত্য ঘটে ব্যাঘাত।


শহরের সবকিছুই যেন চলে অদ্ভুত নিয়মে
প্রথম  প্রথমে খুব কৌতূহল হতো মনে মনে
এখন ওসব গা-সওয়া, বেশ মজা লাগে।

বিধাতার রোষে হয়তো জন্ম গরীব ঘরে
নোংরা আবর্জনার থলি হাতে নিত্য বিচরণ
অলিতে গলিতে, শহরের কোণে কোণে
পাড়ায় পাড়ায় যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ, খুব ঘেন্না করে
তবুও পাপী পেটের দায় সে আবর্জনাই আশীর্বাদ
অক্লান্ত পরিশ্রমে দিনের শেষে জোটে একমুঠো ভাত।


শরীরে পরিহিত ছেড়া ফাটা বস্ত্র আর দুর্গন্ধের মেলা
সাথে শহুরে বাবুদের নিত্য গঞ্জনা
কিছু কথা বলতে খুব ইচ্ছে করে
কিন্তু সাহসের অভাবে, অপূর্ণ থেকেই যায়  
শরীর ও সমাজে ছড়ানো দুর্গন্ধের দায় কার?
শুধু কি আবর্জনার স্তূপে বসবাসকারী গরীবদের,  
তবে শহরের অলিতে গলিতে রাতের অন্ধকারে
দিনের উজালাতে অবোধের মত  
সে সব নোংরা আবর্জনা,  কে ছড়ায়?
সে তো তোমরাই বাবুমশাই, শিক্ষিত জনগণ
নয়তো গরিবরা তো সেই কবেই রাস্তার মাঝে
জমে থাকা স্তূপের অবশিষ্ট থলেটিও নিত তুলে
দরকারও হত না মহাসারম্ভরে উৎযাপনের
“স্বচ্ছ ভারত নামক মহা-উৎসবের”।