আকস্মিক দমকা হাওয়ার তীব্র ঝটকায়
খোলা জানালার কাঁচগুলো চূর্ণবিচূর্ণ খানখান
পাশের বাড়ির ভয়ার্ত শিশুর হৃদয় ফাটা কান্না
মায়ের বুকের আঁচল তলে নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে।


টেবিলের ওপ্রান্তে অনাদরে পড়ে থাকা
মলাটহীন বইখানির বিবর্ণ পাতাগুলো
চকিতের দমকা ঝড়ে ফরফরে উলটপালট হয়ে গেল
তার মাঝে লুকিয়ে থাকা কাগজের এক টুকরো উড়ে গেল ঘরের কোণে।


ভাঙা জানালার কাঁচের ফাঁক দিয়ে
আনমনে চেয়ে আছি ওই দূরের ঘন কালো মেঘের পানে
অজান্তে গুটিপায়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে তুলে নিলাম কাগজের টুকরোখানি
হিজিবিজি কি যেন কিছু অস্পষ্ট লেখা তার মাঝে।


কালবৈশাখীর আসন্ন আগমনের স্বাগতমে
সুপারির গাছগুলো মৃদু ঝড়ের তালে তালে  নৃত্য করে
আম গাছের উঁচু ডালে বাঁধা শালিখের বাসাখানি পড়ে গেল ঝপ করে
ভীত,গৃহহীন পাখিজোড়া আকঁড়ে জড়িয়ে পরস্পরের আলিঙ্গনে।


সে ক্ষণে মনের কোণে কিছু স্মৃতি ভীড় করে
না, অনেক পথ অতিক্রান্ত, অনেক পথ চলাও বাকি
কিন্তু কিছু প্রশ্ন উঁকি দেয় বারবার অশান্ত মনে
কি ইংগিত দেয় অজান্তে পাল্টে চলা পাতাগুলো?


ফিরে দেখি পুরোনো দিনের ইতিহাসের পাতায়
লুকিয়ে আছে আজও সেখানে সব আজগুবি হারানো কথাগুলো
এগিয়েছি কিছু পথ, বদলেছে কিছু কিছু জীবনধারাও
তবুও যেথা কাল দাঁড়িয়েছিলাম আজও বিরাজমান সেখানেই।