আজ যে নিজেকে বড় অদ্ভুত লাগছে !
মিষ্ট হাওয়ার মনোরম শীতের ভোরে -
চোখে পড়ল এক করুন দৃশ্য !
হজারও আনন্দের অনুভূতি কেড়ে নিল মুহূর্তে ;
আর আমাকে বিলিয়ে দিল -
এক দুঃখ জর্জরিত চরম সত্যতায়।
এই তো দেখছি একটি মাঝিবিহীন তরি ,
একাকি বাঁধা আছে শুকনো ডাঙ্গায় ।
হ্যাঁ আমি আগেও দেখেছিলাম ওকে !
শ্রাবণের বারিধারায় জলমগ্ন নদীতে -
আপন বেগে,স্বমহিমায় ক্রুদ্ধ নদীর বুকে বইতে ।
তবে আজ কেন এত অসহায় ?
শিরিষ আর বাঁশঝাড়ের ঝড়াপাতা ছাড়া
আজ তাঁর সঙ্গী আর কেউ নাই ।
নদীতে কেবল অল্প কয়েক ফোঁটা জল ,
তাতে সে কি আর ভাসতে পারে ?
আর যদিবা আবার শ্রাবণ আসে -
পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে এই নদী ;
কিন্তু সে তো আর পারবেনা চলতে,
কেননা সে যে বাঁধা আছে তীক্ষ্ণ দড়ি দিয়ে ।
কে হবে তাঁর সঙ্গী এই অসহায় ঘড়িতে ?
কে বাঁচাবে ওকে মৃত্যুমুখ থেকে ?
একজনই তো আছে যার জন্য তাঁর এত গর্ব !
যে তাঁকে ভাসাত সীমাহীন জলরাশির মাঝে ;
আজ সে কোথায় ? কোথায় সেই মাঝি ?
হ্যাঁ এই তো মনে পড়েছে -
কী করে আসবে সেই মাঝি ?
আর কী করে ভাসাবে তাঁকে ?
কারণ সে নিজেই যে ভেসে গিয়েছিল -
একদিন এই নদীতে ।।