আমি আকাশের পানে চেয়ে শুধালাম তারে তুমি যে সীমাহীন,
যে তোমারে করেছে সৃজন সে তবে কত বিশাল মাত্রাহীন?।
আকাশ উত্তর দিলো মোরে তুমি যেমন জানোনা আমার প্রান্ত,
আমিও জানিনা তার কত ব্যাপ্তি কত সে অনন্ত।।


আমি সিন্ধুকে ছুঁয়ে শুধালাম তারে তুমি যে অতল গভীর,
যে তোমারে করেছে সৃজন সে তবে কত
মহান কোথা তার শেষ তীর?।
নীল জল ঢেউ খেলে জানালো মোরে ছুঁয়েছ জল ছুঁতে কি পারিবে তলদেশ?,
তেমনি আমিও জানিনা সে কত গভীর কোথা তার শুরু শেষ।।


দাঁড়িয়ে ওই হিমাদ্রীর মাথায় শুধালাম তারে হে উচ্চ সর্বধির,
যে তোমারে করিল সৃজন সে তবে কত বৃহৎ কত উচ্চে তার শির?।
হিমাদ্রী আমায় শুধালো ফের পারিবে কি তব শক্তিতে টলাতে মোরে?,
আমিও জানিনা সেই শক্তিহীনে তার উচ্চতা কত দীর্ঘ কত সে দূরে।।


শুধালাম আমি ওরে মন যে তরে দিয়াছে বিষাদ সে তবে বিষাদে ডুবে?,
কোন উত্তর নেই কেঁদে কেঁদে নত সে উত্তর মেলেনা সবে।
তবে সীমাহীন আকাশ গভীর সিন্ধু আর হিমাদ্রীর জবাবের সমীকরণে,
শুধাই তারে একি তব বৈশিষ্ট্য প্রকাশ নাকি শাস্তি প্রতিক্ষণে কোন সুকারণ কারণে?।।


০৬-১২-২০১৬