আমি শুনেছি সেদিন,
কে জানি বলিয়া উঠিল
শিক্ষাই জাতির শক্তি।


আমি শুনেছি সেদিন,
কে জানি বলিয়া উঠিল
শিক্ষাতেই আছে মুক্তি।


কোথায় পাবো খুঁজে?
শিক্ষা নামক শক্তিকে,
শৈশব থেকে যৌবনে
পাই নি শিক্ষা পাঠ্যপুস্তকে।


আমি দেখেছি সেদিন
বিত্তশালী পুস্তকের সমাহার,
কে জানি বলিয়া উঠিল
অপবর্গ নেই শিক্ষা নেবার।


আমি দেখেছি সেদিন
পথের পাশে, ছড়াছড়ি পুস্তকের
কে জানি বলিয়া উঠিল
তবুও শিক্ষা নেই কিছু মানুষের।


কে সে জানো কি?
কিবা তাহার পরিচয়
খুঁজেছি অনেক তবু পায়নি
আসল শিক্ষার মানোন্নয়।


কেহ বা বলিয়া উঠিল
যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত
সে জাতি তত বেশি উন্নত


কেহ বা বলিয়া উঠিল
শিক্ষা মানসম্মত ও গুণগত
শিক্ষা চিরন্তন ও শাশ্বত


কি বা আমি বলিব
এ জাতি  শিক্ষিত হওয়ায়
শিক্ষার গণ্ডি পেরিয়ে,
জাতি চাকরির অপেক্ষায়।


কিছু জাতি শিক্ষিত
না নামে, না কর্মে।
কিছু জাতি শিক্ষিত
না সুনামে, না মর্মে।
কুশিক্ষা নিয়ে গর্ব করে
কাজে কর্মে সে বহিপীর,
চোখে ধূলিতে কিরণ দেখায়
জাতি তিমিরে শিক্ষিত ফকির।
শিক্ষার নামে কুশিক্ষার গুণ
পুড়িয়ে করেছে সবশেষ
দিন কে দিন সাধুবেশে
তারাই বহন করে দেশ।


নেই তাদের কোনো আদত
অসহায় নিম্নআয়ের সাথে
নিপীড়ন চালিয়ে, আগুন দিয়ে
জাতি নিধন আলু ভাতে।
ভুখা আজ নিম্নবিত্ত
আহারের অর্থ উদ্দীপ্তে
দশে ন শত কড়ি
তবুও নিধন আলু ভাতে।


বলার নেই, আওয়াজের নেই
নেই কোনো ভাষা,
মাথার ঘাম পায়ে ফেলে
আছে কষ্টে গাঁয়ের চাষা।
জ্ঞানের আলো বাড়ছে আরো
দিনের পর দিন,
কি হবে এত শিক্ষিতের
যদি হয় জাতি মেরুদন্ডহীন।
সমাজে এমন আছে অনেক
সাধু আর বেশভূষা পীর
ভুল করো না বিশ্বস্ত হয়ে,
কারণ তারা শিক্ষিত ফকির।
যদি না হয় সমাধান,
হে জাতি হও আগুয়ান,
শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে
নব রূপে নবীনের মনে
শান্তির পরশ বুলিয়ে।