আমার আহত পা আরেকটু সারুক
আমিতে বিশ্বাস তোমার খানিক বাড়ুক.....


তোমায় আমি নিয়ে যাবো
সবুজের দেশে।
উড়িয়ে নেব আমার ডানায়
ছুঁতে যাব গুলে বকাওলি,
মুগ্ধ করবে তোমায় অজানা পাখির
রঙিন কলকাকলি।


পুরোটা শাওন ভিজব
তোমায় জড়িয়ে ধরে,
যেমন সোনাঝুড়ি ঝুর ঝুর ঝরে!
শুনে নেব তোমার হৃদয়ের কথকতা
প্রতি কোষে দেব উপহার
অসীম প্রেমের বারতা.....
প্রশান্ত হবো
হবো ডলফিন
হামীম জীবনে এনে দেব বিশুদ্ধ শানীন।


আমার চোখ জুড়ে প্রতিদিন
ঘাস ফুটে ওঠে
বিরানে জন্ম নেয় নিকুঞ্জ লতা।
শরীরে ভর করে সহস্র অতনু
উপচে পড়ে অস্থির কবিতার খাতা!


তবু আমার কাছে কোন যথার্থ শব্দ নেই
আমি অর্বাচীন কবি,
যদি পারতাম আমার চোখের ভেতরে গজিয়ে ওঠা শালবন তোমায় দেখাতে;
তুমি টের পেতে
আমি আর নই কোন মানবী,
বনদেবীর শেকড় আমার শিরায় উপশিরায়
কী ভীষণ রাজত্ব ছড়ায়!
কত শত স্পর্শ-ফড়িং উড়ছে
ভরা সাঁঝ সেঁজুতি আঙিনায়.....  


এই শিশুগাছ কিংবা পাতাবাহার
লিউকোপ্লাস্টে যে গোপন ছবি আঁকে,
কিংবা যতটা গভীরে লোহিত কণিকা থাকে
তার চেয়ে নিবিড় আমার অনুভব,
খুঁজে ফেরে তোমার এক বুক সৌরভ.....


পারিজাত, আমায় জড়িয়ে ধরো,
তোমার বিরহে কাঁপছি ভয়ার্ত শিশুর মতো
থরো থরো অবিরত।
যেন আমি জ্ঞান হারাচ্ছি
যেন শরীর ছেড়ে সব প্রাণরস উবে যাচ্ছে আকাশের পানে,
এতটা দূরে থাকা আমার সয়না পরানে!


এই ঘোর লাগা সন্ধ্যায় রাধিকা'র হিয়া নিয়ে
মূর্ছা যাচ্ছি প্রিয় তোমার অদর্শনে।
জানি চাইলেই পাবো না সিঁথির সিথানে।
আর তাই অপেক্ষায় মশগুল,
তোমার এই নির্লাজ অপরাজিতা ফুল।


আমার আহত হিয়া আরেকটু সারুক,
আমাতে প্রেম তোমার খানিক বাড়ুক.....
নিয়ে যাবো হাতে হাত রেখে
অপেক্ষা করছে পৃথিবীর বাইরে আরেকটা পৃথিবী,
প্রেমের তিয়াসে যেথা অনন্ত নির্ঝরিণী
যেখানে তোমার সমস্ত ক্যানভাসে
আমি এঁকে দেব অনন্ত সবুজ চুমু
প্রতি পলে আদর অক্ষৌহিণী..........