ছোটবেলায় একটি আতংকের শব্দ বাবা
যখন বড় হলাম,
বুঝলাম আস্থার প্রতীক মানে বাবা
মা আমায় দশমাস দশদিন রেখেছিলো
গর্ভে
আর বাবা!
সুস্থভাবে আলো দেখা নিশ্চিত করেছে

হাতে হাত রেখে অভয় দিয়ে যিনি
শিখিয়েছিলেন হাঁটা ,
তিনি কিন্তু আর কেউ নয় তিনি হলেন
বাবা ৷
যদিও বয়স বাড়ার সাথে সাথে দৌড়াতে
শিখেছি ,
কিন্তু !
পিছু ফিরে কখনো বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা
স্বীকার করা হয়নি ,
বরং অতিরিক্ত দুরন্তপনার জন্য যখন রুষ্ট
হতেন তিনি ,
মনে হত তখন,পৃথিবীতে সবচেয়ে খারাপ
মানুষ তিনি ৷
আর এই খারাপ মানুষটিই যে আমার
শুভাকাঙ্ক্ষী
তখন কিন্তু বুঝিনি ,
বুঝিনি কেনো আমার কাছে তিনি খারাপ
হয়েছিলেন ?
কারনটা আজ বুঝি,যেনো আমি
ভালোভাবে চলতে শিখি।
পড়ালেখার জন্য বাবার হাতে মার
খেয়েছি আর ভেবেছি,
নিজের সন্তানের উপর এতটা নির্দয় হয়
কেমনে করে?
তখন হয়তোবা খেয়াল করিনি,
তবে আজ কিন্তু আমি নিশ্চিত
মার খেয়ে যখন কান্না করে ঘুমাতাম
নিঃশব্দে বাবা নিশ্চয় আমার মাথায় হাত
বুলিয়ে দিতেন।
আমার জন্মদাত্রী হলেন আমার মা,
কিন্তু আমার অন্ন,বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষাসহ
আমায়
ভালোভাবে বড় হয়ে উঠার পরিবেশ
দিয়েছেন
তিনি তো আর কেউ নয় তিনি হলেন
বাবা।
কখনও আমার চিন্তা করতে হয়নি
বাসায় গিয়ে কি খাব? টিউশন ফি কে
দেবে?
বাসা ভাড়া কিভাবে দিতে হয় ?
অথচ আমরা চিন্তা করি হিউস কেন
ইনজুরিতে?
কে সেরা?
মেসি না রোনালদো?
বিশ্বকাপটা সন্ধ্যায় হলে কি হত?
শুধুকি তাই ?
কলেজে পড়ার সময়ও বাবার সাথে মতের
অমিল
তখন ভাবতাম , অনেকের বাবাই তো অসুস্থ
হয়,
কেনো আমার বাবা অসুস্থ হয় না ?
আজ বুঝি , বাবারা অসুস্থ হওয়া মানে কি?
বাবা না থাকার মানে কি ?
বাবারা হলেন মাথার উপর ছাদের মতো
যার মাথার উপর ছাদ নেই,সেই জানে এর
মর্মার্থ কি।
বাবা হলেন অদৃশ্য একটা দেয়াল
যিনি না থাকলে হয়তোবা অনেক আগেই
আমি ভেঙ্গেচুড়ে গুঁড়িয়ে রাস্তায়
মিশে যেতাম ৷