মাগো
তুমি আমার দুখের দিনে একটু সুখের বাতি,
তুমি আমার আঁধার রাতে একটু আলোর জোতি।
কতযত্ন করে তুমি পেটে করেছিলে ধারণ,
দশমাস দশদিন সয়েছিলে অসহ্য যাতন।
মৃ‌‌ত্যুকে পরাজিত করে তুমি এনেছ আমায়,
শত আদর স্নেহ দিয়ে লালন করেছ তাহায়।
শত বেদনায় যখন আমি হয়েছি জর্জরিত,
তোমার আদরের কাছে সব হয়েছে পরাজিত,
ক্ষুধা আর তৃষ্ণায় হয়েছি যখন কুপোকাত,
তুমি মা আদর করে মাথায় দিতে স্নেহের হাত।
সব জ্বালা যাতনা হয়ে যেত দূর,
তুমি যখন বলতে মা কথা সুমধুর।
রোগ বিছানায় যন্ত্রণাতে থেকেছি আমি বসে
শত কাজ ফেলে তুমি মা থাকতে আমার পাশে।
সারা শরীর জ্বরে আমার পুড়ে যেত যখন,
বদনা ভরে ঠাণ্ডা পানি ঢালতে তুমি তখন।
কত কষ্ট মা আমি দিয়েছি তোমায়,
তবু তুমি ভুলে যাওনি এই আমায়।
নিতিনিতি পাঁচবার নামাযেতে দাঁড়িয়ে,
দোয়া কর তোমার সন্তান যেন না যায় হারিয়ে।
নিজ মুখের আহার তুমি তুলে দিতে আমায়,
যেন কষ্ট না পাই, আমি কভু ক্ষুধা তৃষ্ণায়।
সত্যিই তুমি খোদা তায়ালার অসীম নেয়ামত,
দিয়েছে খোদা তোমায় অধিক রহমত।
প্রতিদিন হাত তুলে খোদার কাছে বলি,
আমার মা যেন কভু না যায় চলি।
আমি যখন যাই কোন দূর শহরে,
মা নামটি থাকে আমার এই অন্তরে।
রাতে যখন স্বপ্নে দেখি আমার মাকে,
মা আমায় আদর করে খোকা বলে ডাকে।
হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেখি মা নেই মোর পাশে,
মোর হৃদয়ে তখন বেদনার জোয়ার ভাসে।।
শত মায়ের চাইতে প্রিয়, শুধু আমার মা,
পৃথিবীতে কারো সাথে নেই তার তুলনা।
মাকে আমি রাখবো ধরে হৃদয় মন্দিরে,
যেতে দেব না কখনও তাকে একটুও দূরে।
বার বার আসি ফিরে মা দেখতে তুমে,
তুমি আদর করে মা দিতে আমার চুমে।
মা যে আমার মাথার মনি, দোয়ার খনি,
দেখলে তাকে জরছে পালায় সকল শনি।
মা ছাড়া গৃহ বিশাল শূন্য অরণ্য,
যে গৃহে মা আছে সে পরম ধন্য।।
                           ধুলাউড়ি কাওছারিয়া কামিল মাদ্রাসা, সাঁথিয়া, পাবনা। ২৬/০৭/২০০৪ইং