এইসব অন্ধকারের রাতে,
চাঁদের আলোর অপেক্ষায়,
ধীরে, চুপিচুপি নেমে আসে সে;
যেভাবে আসে ঘনবরষার ধারা ধরাপানে!
খুব বেশি দেরী হলে,  
সকলেরে ফেলে,
তুমি আসিও নতমুখী হয়ে__
আমি অস্ফুটস্বরে কব নাকো কথা,
অভিমান বুকে নিয়ে!
যেটূকু অভিমান ছিল তার,
সকলি ফুরায়ে গেছে নেই বাকি কিছু আর;
জবা ঝোপের আড়ালে,
হঠাৎ কেন দাড়ালে?  
ডুকরে কেঁদে উঠেছিলে সেদিন__
মরিচিকারূপে দেখেছি তোমায় যেদিন;
ওরে মালকিন, মালকিন মোর আহারে__
রূপের ফোয়ারা, ঢাকিয়া রেখেছে তাহারে__
মনো মালকিন;
উদার হও, পেছনে  লুকাও হাত_
আজি রাত্রি কথা কব মোরা,
কথা কব সারারাত;
অভিমানী মোর, অন্ধকারের রাতে__
নামিয়া আসো নক্ষত্রদের সাথে,
হাজারো তারারা ছুটেছে, বৃষ্টি নামবার আগে__
তারা এসে পৌছাবে এই ভাটেশ্বরীর ঘাটে;
এই ঘাটে ঐ জলকিনারার পাশে_
দুটো তারা রোজ আলাপন করে_
নিয়ম করিয়া হাসে;
নিয়তি আমার, ওরে নিয়তির দেবী__
উজাড় করেছি, যা ছিল দেবার,
দিয়ে তো দিয়েছি সবই;
বাকি কিছু নেই,  বুকের ভিতরে অভিমানটুকু ছিল_
মনো মালকিন অভিমানী মোর,
সেটুকুও কেড়ে নিল;