প্রথম দেখা
`সামনে যাওয়ার কি আরো রাস্তা আছে?’
থেমে গেলাম।
নিশ্চিত ছিলাম সেটা তুমিই হবে,
কন্ঠের স্বর মুহূর্তেই তোমার ছবিটা চোখে ভাসিয়ে তুলল।
আমি জানতাম,
পেছনে ফিরলেই ছবি নয়, জীবন্তই তোমাকে দেখতে পাবো।
তোমার দিকে তাকানোর আগের কয়েক সেকেন্ড ভেবেনিলাম অনেক কিছু,
থাক তা নাই বলি।
ভেবেছিলাম দেখা করার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আমি চলে আসব,
কিন্তু হলো কই?
পরে গিয়েও সরাসরি তোমার চোখে যে খুন হতে হয় নি এই স্বস্তি।
পেছন থেকে ডাকা আর,
ভালোবাসার শুরুটা মনে হয় সেখান থেকেই, তাই তো?
সেদিনের প্রথম দেখা আজও আমায়
শিহরিত করে তোলে, গল্পের মতো মনে হয়।
চেহারাটা তোমার কাব্যিক,
আর কপালের কাটা দাগটা অদ্ভুত আকর্ষণ তৈরি করে।
কখনো মনে হয় তুমি কবি,
কখনো সাহিত্যিক,
কখনো বা প্রেমিক,
কখনো বা নামহীন কেবলই মূর্তি,
কখনো অতীত,
কখনো বা অনিশ্চিত আর অসম্ভব মূহূর্ত পথিক।


দ্বিতীয় দেখা
শেওলা রঙের শাড়ি আজও চিনতে পারি নি,
পড়েছিলাম শাড়ি,
তবে সেটা বেগুনী রঙেরই ছিলো,
নীল চুড়ি ছিলো।
টিপ বলেছিলে পড়তে,
সত্যি বলছি টিপ আমার ভালো লাগে না।
শূণ্য হাত ছিলো না, ছোট একটা পার্স ছিলো হাতে,
তাই আর হাত ধরে হাটার সুযোগও ছিলো না,
সত্যি সেটা সম্ভব ও নয়।
কারণ আমি কবিতা নই, কবিতার অনুসারীও নই।
‘আর হবে কি দেখা?’
সত্যিই আমি জানি না এর উত্তর।
কারণ তোমার তৃতীয় বারের আবদারের অর্থ আমি জানি না।
লাল রঙের শাড়ি পড়ে,
বেলী ফুল খোপায় পড়ে আর
প্রেমিক যুগলের মতো অভিনয় আমার সাজে না।
কষ্ট পেয়ো না,
যদি দেখা হয় সেটা তৃতীয় দেখা হবে না,
সেটা প্রথম দেখাই হবে।
কারণ সেখানে কোন আবদার থাকবে না,
থাকবে,
না পাওয়ার শেষে বন্ধুত্ব।