আমি বিলাসপুরের মতি মাস্টারের
মেয়ে তিরথা বলছি,
গত কোনো এক বর্ষা দিনের মধ্যপ্রহরে
বৃষ্টির ঝুপঝাপ শব্দের ফাঁক গলিয়ে
এক অস্ফুট আর্তনাদ কর্ণে ধ্বনিত হয়!
সবকিছু স্তব্ধ করা পিশাচী আর্তনাদ!
সেই থেকে অযাচিত, বিশৃঙ্খল জীবন শুরু।
গোমরে গোমরে কাঁদার বিদারী শব্দ,
এফোঁড় ওফোঁড় করা ভগ্ন হৃদয়ের ঝংকার,
ছেড়ে যাওয়ার নানা টালবাহানা,
একাকীত্বের স্বনির্ভর আবির্ভাব।
নিস্তব্ধতার ছায়ায় মুড়িয়ে যাওয়া ক্ষণ!
ভালোবাসার ছিঁটে ফোঁটাও দৃশ্যমান নয়।
সবার মাঝে পেয়ে হারানোর বেদনা!
ক্ষণে ক্ষণে মানুষের আনাগোনা;
আর শব্দহীন সান্ত্বনার প্রক্ষালন।
শব্দহীনতায় আচ্ছন্ন সব।
কেউ কোনো রা করছে না;
ফ্যাল ফ্যালিয়ে স্বকর্মে ব্যস্ত।
কি যেন নেই নেই রব!
আমি মতি মাস্টারের মেয়ে তিরথা!
সাজানো গোছানো বিচিত্রভবের রাণী।
আজ ষষ্ঠমাসি ঘুমহারা, নির্জনা, ছিন্নমূল,
বাস্তুহারা,অমোঘ তিয়াসী পথের পথিক!
এক আর্তনাদের অতলে চাপাপড়া
আমার হাজারো স্বপ্নের অকাল মৃত্যু;
দৃশ্যত তবে জিঞ্জির বাঁধা, শ্বাপদসংকুল!
কর্ণে বন্ধনের রেণু কাটার বিড়বিড় শব্দ।
প্রত্যাশা, প্রাপ্তির পুনরুদ্ভব বিরান, শূন্য!
আমি বিলাসপুরের মতি মাস্টারের
মেয়ে তিরথা বলছি!