বাঁশবন পাশে আড়াল পরেছে,
মধু জোছনার চান।
আজ জমা হয়ে বিভোর বেদনা,
ব্যথার বেধেছে গান।
ক্ষণকাল বসে ঘিরব নয়নে,
চাহি অদূরের পথে,
দেখা হল ডাকা বিজন বনের,
সেই পা পিয়ার  সাথে।
তবুও রূপালী দেখা দিল না যে,
আসিল না মোর কাছে।
সেকি জানে না তাকে ছাড়া মোর,
সোনার জীবন মিছে।
গাছের পাতাতে চিঠি লিখে তারে,
দিয়েছি বানের জলে,
এতে কোন মোর নাই যে ছলনা,
শুধু ভালবাসি বলে।
দু ভরা মাসে অদূরের পথে,
বটের তলাতে বসে,
কত আশা নিয়ে নয়ন মেলিয়া,
রং ছায়া মাখা ঘাসে।
কত রাখালের বাঁশরীর সুর,
খোলা মাঠে বাজে সুখে।
তারই বেদনার সুরের মিতালি,
এসে যেন লাগে বুকে।
বকুল তলাতে আজও দেখি খুঁজে,
রঙিলা পায়ের ছাপ,
আজও বহিস করে গর্তে
বাস করা দুটি সাপ।
তোকে খুঁজি আমি পদ্ম পুকুরে,
গেয়ো মেয়েদের কিরে,
কত শত এখানে খুঁজে কত বার
ফিরে এসেছি যে ঘরে।
জানি নাতো আমি কি জানি রে তুই,
বাসস ভাল কেমন।
সেই যে কবে দেখা হয়েছিল,
কে জানে ভাবে কি এখন।
মোর কথা তোর আছে কিনা মনে,
বলতে পারিনা ওরে।
আজও ভুলতে পারিনি যে আমি
মনে রেখেছি তো তরে।
কদমের কলি ফুটে গেছে ডালে,
গান গায় শত অলি।
আজও লেখা আছে নিষ্পাপ বুকে,
তোর নাম রূপালী।


পাল তোলা নাগর দেখিয়া নাগরী,
ভাসে তোর স্মৃতি মনে,
থাকিয়া থাকিয়া ডাকি তোরে যেন,
তোরই সেই প্রিয় গানে।
যবে আকাশে তে উড়িয়েছি ঘুড়ি,
এসে তুই মোর কাছে।
পেছন থেকে চোখ বেধে দিয়ে,
খুশিতে বিষম হেসে।
আম কুড়ান সেই মধু ভোর,
আজও যে জীবনে আসে,
ঘর হতে এসে বাহিরে  প্রদানের,
দেখি তুই নাই সাথে।
ভাবিয়া কেবল এক বুক ব্যথা
হাহাকার তোলে বুকে,
কাঁদিতে কাঁদিতে ঘরে ফিরে যায়,
তোরে বিনা এই পশুকে।
কত বেদনার কত ব্যথা স্মৃতি,
ভাসে থেকে থেকে মনে,
আমি সুরে সুরে দাবিয়া ফিরি,
জিজ্ঞাসিত জনে জনে।
শরতের ফুটা কাশফুল গুলো,
যেন তোর সেই ছবি,
সেতো আঁকি আমি,থাকিয়া থাকিয়া,
হয়ে ছন্দের কবি।