এই গাঁয়ের এক ভাঙ্গা ঘরে, জম্ম আমার ভাই,
দুই খানা ঘর এই বাড়িতে বাড়তি কিছু নাই।
চালটা খারা ভাঙ্গা টিনে, জল পরে বর্ষাতে,
চারপাশের ঐ ছনের বেড়া, ভাঙ্গছে দিনে রাতে।
আম কাঠালের দু একটা গাছ নারকেল আর সুপারী,
পশ্চিমে এক বাশ বন আর পূর্বে  পুকুর  ছরি।
খাপছাড়া ঢং এই বাড়িতে নিত্য নতুন ঘটে,
অনাদর আর অনটনে, সব নিয়েছে লোটে।
জগড়া কেবল লেগেই থাকে সংগত কারনে,
প্রাণের তৃষ্ণা মিটবে কি আর নিষেধ বারণে।
সর্বনাশা ক্ষুধার গ্রাসে  বিষাক্ত সব প্রাণ,
হাজার বছর সাধন করে,পেয়েছি এ কোন দান।
রোগ শুকেত ভোগতে এদের নাইকো অবসর,
প্রাণ বিধাতার প্রভাত ছাড়া, সব যে মিছে পর।
নানান রকম উৎসবেতে, এদের জীবন মরন,
নাই বদলের রূপসী খেলা, সব সময় এক ধরন।
চাইতে কেহ পাইনি কিছুই, এটাই মিথ্যে স্বপন।
গোপন মনের কত যে স্বপ্ন,  শুধুই থাকে গোপন।
বিশাল হওয়ার স্বপ্ন যেথায়,ভোর স্বপনের মত,
আবেগ কুবেক  সবকিছু  তাই ঢং স্বপনে রত।
এই খানে কেউ হয়না কবি, এমন পরিবেশে,
তবে সুধি সমাজ শুনলে পরে, উড়িয়ে দেয় উল্লাসে।
নির্ভাবনার ভাবনা যত বিলাষ ভুবন চরে,
এই বাড়িতে অভাবটা যে, আসল শক্ত করে।
হই বা না হয়,  নাই ক্ষতি  নাই,বড় মাপেন কিছু।
সারাটি জনম পালক ব্রত,থাকব তারই পিছু।