দূরের বন্ধু পত্র লিখে তোমায় নিমন্ত্রন,
আম কাঠালের বনের দ্বারে,অলিদের গুঞ্জন।
বর্ষায় যদি অাসতে চাইবে, বাইবে সাধের বেলা,
গীষ্মে এলে দেখতে পারবে আম কাঠালের মেলা।
শরৎ রাণীর মেঘমালাতে দেখবে এলেই ভাই,
যেন স্বর্গ সুষমা নেমে এসেছে মোদের পল্লী গায়।
হেমন্ত তার কনক ধানে দখিনা  বাতাসে দোলে।
সারা জনমের জরা ব্যাথা গুলো তুমাকে যে দিবে ভুলে।
শালিক টিয়ার ঝাক বেঁধ  যাওয়া, দেখিবে যবে গো চেয়ে।
সবুজ বনানী ভরে যাবে সব, ভাববে অবাক হয়ে।
বাড়ির পাশেতে প্রবাহিত নদী, কাটবে সাতার জলে।
গেয়ো চাষীদের পাটের জাকেতে চলবে যে দোলে দোলে।
এখানে আসিলে দেখিতে পাবে, পদ্ম দিঘির পাড়ে।
বিলের পানিতে শাপলা শালোক ফুটে আছে থরে থরে।
জোছনা ভরা চাঁদনী রাতে, গেয়ো সাথীদের নিয়ে।
আকাশের শত তারার মেলায় যাব একাকার হয়ে।
হীম হীম হীম শীতে আসিলেও যদিও কাপিবে দেহ।
পিঠা পুলি আর খেজুরের রস খেতে পাবে অহরহ।
বসন্তে তো আসতেই পার, কোন বাধা নেই আর।
কোকিলের গান,দখিনা বাতাস,দেব আরও উপহার।
সোনালী সূর্য উঠে যবে গো, রাখালী চলেছে মাঠে।
যেন স্বর্গ সুসমা নেমে আসে যেন,এই পল্লীর বাটে।
বৈশাখি মেলা, চরকির খেলা, রঙিন ঘুড়ির মেলা।
কত যে সুখে কাটবে তোমার এখানের  সারা বেলা।
যখনই ইচ্ছা আসতে পার নিমন্ত্রন বার মাস।
মায়া মমতায়  জড়িয়ে রয়েছে আমারই সে ছোট বাস।