খেয়া পারাপারে নাই তরী নাই,
মেঘে ঢাকা আছমান।
ক্ষনিক জ্বলিয়া আড়ালে পরিল,
মধু জোছনার চাঁন।
ক্ষানিক দূরেতে শিয়ালের পাল,
থাকিয়া থাকিয়া ডাকে।
যেন সুর তুলে আশার অলখে,
নৌকা ভিরাতে ঘাটে।

দ্বি প্রহর রাতি শেষ হয়ে এলো,
শিশিরে ভিজেছে গা।
কবে থেকে দিন গুনা হল শুধু,
ফুলিয়া ওঠেছে পা।


ঐ দূর পথে আসছে তরণী,
ক্ষরস্রোতা টানা জোর,
কেবলই আশায় থাকিয়া থাকিয়া,
বেলা হয়ে গেল ভোর।
পিপাসার জল ভুলে গেছি কবে,
কবে থেকে কোথা জানি।
কেমন করিয়া কিসের কারনে,
ফুরাল হালের পানি।


এক ঝাক পাখি দূরের আকাশে,
আড়াল করিয়া মেঘ,
চলে অশান্ত দূরের সফরে,
ঘটাইতে অবিষেক।


কতশত জন ওপারে যে গেল,
কেউ তুলিল না মোরে।
কত স্ব জনের কত চেনা মুখ,
দেখে চলে গেল দূরে।


বার বার তরী চলে যায় আসে,
আমারে তুলেনা হায়
যত বার বলি, মাঝি ভাই বলে,
দিতে হবে কিছু তায়।


আমি মুছাফির চিনিল না মাঝি,
পার করিল না মোরে।
শূন্য হাতেতে মোর কাদাকাটি,
শুধু শুধু সংসারে।
পিছনে ফিরিব নাই কোন পথ,
এসেছি অনেক দূরে,
স্বার্থের চর ছাড়িয়া দিয়েছি,
কি করে ফিরিব নীড়ে।


যত বার তরী ভিরে আসে ঘাটে,
তত বার নিবেদন।
মাঝি দেখি তার আপন কাজেতে
লাগিয়ে রেখেছে মন।


ঐই তরী যায় দূর পারাবারে,
ডাকি ভাই ভাই বলে।
স্বার্থের চরে যাত্রী ভরিয়া,
মাঝি গেল দূরে চলে।