ছদ্মনামে  ঃ  কবি  শতদল


আসতে  যেতে
ঐ  মেন  রাস্তার  ধারে
চোখে  পরে  বারে  বারে
ছেলে  মেয়ে  নর নারী
ঐ  ঝুপড়িতেই  ওদের  ঘর বাড়ি  ৷
কেমন  করে  কাটে  ওদের  দিনরাত
কিভাবেই  বা  যোটে  ওদের  পেটের  ভাত  ?
চাই  রে  ভাই  রোজগার
নাহলে  চলবে  কেমন  করে  সংসার  ৷
বসে  থাকে  না  কেউ  আগাগোড়া
বানায়  মাটির  ভাঁড়
মুখে  দাড়ি  ননী খোঁড়া  
নাড়ুকাকা  বানায়  বাঁশের  পাখা
পরিবারে  কেউ  নেই
ঝুপড়িতে  সে  একা  ৷
দাঁত  উচু  কেলে  রতন
নিয়ে  যায়  ভদ্রলোকেদের  পাড়ায়  পাড়ায়
ঝুড়ি  করে  কুলেখাঁড়া  কল্ মির  আঁটি
তার  সাথে  নীমের  দাঁতন  ৷
ঝুপড়ি  বস্তির  ঐ  যে  বকুল
বাড়ি   বাড়ি  দিয়ে  আসে  পুজোর  ফুল
পারুল কাকি  বানায়  ডালের  বড়ি
শহরে  বিক্রি  করে  বাড়ি  বাড়ি  ৷
টাক  মাথা  গোপীনাথ
রোজ  বেঁচে  ফুচ্ কা  আর  চাট
মোটা  গোঁফ  পকড়ি ওয়ালা  কেশব
মেন  রোডের  এক  ধারে
সন্ধ্যেবেলায়  ভাজে  বেগুনি  আর  চপ  ৷
নস্যি  নেওয়া  বয়োজ্যেষ্ঠ  কাকা  বশিষ্ঠ
সংসারে  তার  ভারী  কষ্ট
চালান  পান  বিড়ি  চায়ের  দোকান
বড়  নাতনীর  সে  বিয়ে  দিতে  চান  ৷
এবার  ওদের  কথা  বলি
রুমঝুম  কাজল  আর  কাকলি
এক সাথে  উঠোনেতে  খেলে  কিত্ কিত্
বুড়ো  ভ্যাবলা  আর  রঞ্জিত
শেফালী  মঞ্জু  কস্তুরী
ঝুপড়ির  পেছনে  খেলে  লুকোচুরি৷
না  এ  বিশেষ  কোনো  গ্রাম  নয়
সে  রকম  কোনো  নাম  নয়  
অজস্র  ঝুপড়ি  আছে  বাংলার  কোণে  কোণে  ৷


ব্যারাকপুর, কোলকাতা,  পঃবঃ,  ভারত
      ৬ই  জুন ,  ২০১৭