২৬
যখন যাবে একা যেও। সতেজ
ঘাসের মতন চুম্বনগুলো, শীতের-
কম্বলের মতন বুকের-
উষ্ণতাগুলো নিয়ে যেও না।
ওগুলোই বাঁচার আবশ্যকীয় উপাদান।



২৭
চুম্বনের নামে তোমার অধর হতে-
কেন যে শুষে নিই এনেস্থেশিয়া
তুমি জানো না। এটুকু-
পেলেই ভুলতে পারি মারাত্মক-
ক্ষতের বেদনা।



২৮
হেমন্তের উঠোনে জলজোছনায় সাঁতার-
কেটে ভালো আছো জানি।
তুমি না দেখলেও আমার-
চোখের তরুণ অন্ধকার দেখে ফেলে
ভোরের সবুজ অরণ্যানী।



২৯
রাত ফুরিয়ে সকাল আসার আগেই
সকল নির্জনতা সরিয়ে তরল দুঃখরা
এসে যায়।
শরীরের আবরণ খুলে হৃদয়টা শকুনের-
মতো ছিঁড়ে খায়।



৩০
আগুন কতটা পোড়ানোর কথা বলে
পাতিলের তলায়
প্রিয়তি জানে না বলেই দূরে চলে যায়।
আগুনের উপত্যকায় তবুও থাকি তার অপেক্ষায়।



৩১
করোনাগ্রস্ত শব যেমন পায় না স্বজনের শেষ চুম্বন
তেমনি সুদীর্ঘকাল সাধনায়ও পাইনি তোমার মন।
অকারণ অবিশ্বাসের ঝড়ে দুলতে থাকো সারাক্ষণ।
০২-১১-২০২০