তোমার কোমল হাতের শীতল পরশে
আমার শরীরে যখন লোমে কাটা দেয়
যখন মস্তিষ্কের নিউরণে বেজে ওঠে সুখের সাইরেন
অনুভূতির বন্ধ দুয়ার খুলে
দখিণা হাওয়ায় দুলে ওঠে অন্তর;
বসন্তের আবহে হৃৎপিণ্ডের অলিন্দে শুনি
যৌবনের দুরন্ত কলরব।
অজানা সুখের উল্লাসে মুখরিত প্রাণ
তোমার বন্দনায় রত
দুর্ভাগা এই আমার বুকের মধ্যে
আনন্দের হাওয়া ঘুরে ওঠে।
তখন নৈঃশব্দ বর্ণমালার ভাষাহীন আবেগে
আমার দুচোখে ঘটে নীরব অশ্রুপাত
বার্ণিল স্বপ্নে বিভোর হয়ে আমি
তোমাকে অর্পণ করি আমার কবিতায়
নৈবেদ্য ভালোবাসা।


তোমার গভীর গাঢ় দুচোখে চোখ রেখে
আমার বুকের মধ্যে তৈরি হয়
সোনালী স্বপ্নে ভরা কিছু শব্দমালা
যার জন্য আজন্ম এই অলস আমি
প্রতীক্ষায় থাকি রাত দিন
আমার বুকের মধ্যে জমে থাকা ভালোবাসা
তোমাকে অর্পণ করবো
কিছু বর্ণসমষ্টির মালাসমেত শব্দের গাঁথুনিতে।
কেননা তোমার স্পর্শে অবশ হয়ে যাওয়া
আমার দেহের প্রতিটি কোষে
আবেগের প্লাবন ডেকে ওঠে
যেভাবে বিদ্রোহী জনতা বিপ্লবের ডাক দেয়
মুষ্টিবদ্ধ হাতে বিদ্রোহী প্লাকার্ড হাতে নিয়ে।


আমার শব্দহীন ভালোবাসার একান্ত প্রকাশ
তুমি বুঝতে পেরেও অসহায় আত্মসমর্পণ কর
এক অদৃশ্য রক্তচক্ষু দানবের ভ্রুকুটির কাছে।
যে ভালোবাসা আমি কেবল তোমাকেই দিতে চাই
আমার বুকের মধ্যে জমে থাকা কবিতার ছন্দে
যে কবিতার প্রতিটি শব্দ কেবল
তোমার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে আমার বুকে
তৈরি করবে ভালোবাসার এক অমর কাব্য
সে ভালোবসায় কেবল আমারই স্বত্ব থাকবে।
এই কবিতা শুধু তোমার জন্যই তুলে রাখি
অতি সঙ্গোপনে আমার হৃদয়ের খুব গভীরে।