শিরিনের মতো শিষ দিতে দিতে বেতস ফলের মতো
টসটসে বেদনারা হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ে ঘরে
তক্তপোশ দাপটে দখলে নিয়ে শুয়ে পড়ে বুকে
তন্দ্রার বালিশ ভেবে। আনন্দে পা দোলায় পায়ের -
ওপর পা তুলে। আমি জলের ভেতর আঙুল চুবিয়ে-
মাপি মায়ের আঁচল থেকে স্ত্রীর শাড়ির কুচির ব্যবধান।


সময়ের ট্রেনে চেপে পার হয়ে এসেছি সোহাগ নগর
বেলকনি থেকে ওড়ে গেছে কৈশোর নামের স্নিগ্ধ কবুতর
ক্ষয়ে গেছে যৌবন নামের টগবগে তুরগের
ক্ষুরের অর্ধেক নাল। তবু আমি প্রাণপণ -
           ছুটি...
                ছুটি...
                      ছুটি...
সুখ- নামের সোনার হরিণের পিছে। যৌবন এখন-
সূর্যের সারথি; চিলের ডানায় ভর করে মেদিবিলের ওপারে
হিজলের আড়ালে পাহাড়ি জলে ডুবার অধির অপেক্ষায়।
আর আমি পুরাতাত্ত্বিকের মতো স্মৃতির শরীর খুঁড়ে-
খুঁজে চলি মায়ের আঁচলে ঢাকা সুখমোড়া সুগন্ধি শৈশব।
২৪-১১-২০২১