গেলো বসন্তে বুকের উষ্ণতায় যে উত্তাপ
ছড়িয়েছিলে শিরায় এবং শরীরে, সে উত্তাপ
এই শীতে হয়েছে বিলীন কুয়াশা কাফনে।
শিরদাঁড়া বেয়ে তিরতির করে নামে বিরহের তাপে
বেদনার গলিত বরফ। আবেগের নদী শীর্ণ হতে হতে
জলহীন পাতকুয়া এখন কেবল। অবশিষ্ট -
আছে কিছু শরীরের আনাচেকানাচে আবছা আঁধারে
চুম্বনের জলছাপ। কবিতার ছেঁড়া কিছু পাতা এলোমেলো
অনুচ্চারিত শব্দের হাহাকার কিছু আছে এখানে-সেখানে।


ভালোবাসায় থাকতে নেই কুয়াশার অতলান্তিক আড়াল
থাকতে নেই অবিশ্বাসের দুর্লঙ্ঘ দেয়াল। বৈরী সময়ের-
কাছে হার মেনে গেলে থাকে না বাঁচার কিছুই যে আর।
এসো অমাবশ্যার কুহকী অন্ধকার থেকে বের হয়ে
চিলের মতন ডানায় রোদের গন্ধ মেখে বলি, "ভালোবাসি"
এসো শুমুখ পারফিউম হয়ে মিশে থাকি একে অন্যের শরীরে।
এসো চাতকী পিয়াস নিয়ে প্রগাঢ় চুম্বনে তুলে আনি
তুষ্টির আরক। প্রেমগন্ধে ভরে রাখি বুকের বাগান।
এসো "জলের তরল বীজ" হতে জন্ম দিই
অবিনশ্বর প্রেমের পৌরাণিক ইতিহাস হৃদয়ের দ্রাঘিমায়।
এসো দহনের দরিয়ায় ডুবে থেকেই তৃষ্ণার তৃৃপ্তি খুঁজি
অধরের অতলান্তিক পদ্মপাপড়ি আঙিনায়।
০২-১২-২০২১