এক অপূর্ব সুন্দর শব্দের ঝঙ্কার
টুপ টুপ শব্দ করে হঠাৎ ঝুম ঝুম।
টিনের চালে মেঘ বালিকার ঘুঙ্গুর নৃত‌্য।
শরতের ভোরে শিউলি ঝরার মতো
চৈতি হাওয়ার দহনরোধী শেষ ফাল্গুনে
প্রশান্তির বৃষ্টি।আহা কী প্রশান্তি!
নগর জীবনের বিশাল অট্টালিকার ফাঁকে
একতলার ছাদে টিনের ছোট্ট একচালা ঘর
ছিমছাম ঘরের সামনে উঠানের মতো ছাদ।
ছাদে বৃষ্টির ফোটা পড়ে টাপুর টুপুর
টিনের চালে ঝরে ঝর ঝর ঝর।
জানালা দিয়ে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়
বৃষ্টির শীতল পরশ।
প্রিয়তির খুব ইচ্ছে ছাদে দাঁড়িয়ে
বৃষ্টির জলে ভিজে মন ভিজিয়ে নেয়
বুকের জমাট কষ্টগুলো ভাসিয়ে দেয়
বৃষ্টির জলে।
প্রিয়তির কৈশোরের কথা মনে পড়ে
মনে পড়ে প্রথম বৃষ্টিতে ভিজার আনন্দ।
মনে পড়ে বৃষ্টি বিলাসে প্রথম প্রেমে পড়ার দিন।
হারিয়ে যায় বলধা গার্ডেনের গাছের তলে
যেখানে দাঁড়িয়ে প্রিয়তি মাথা রেখেছিল
প্রিয় মানুষের বুকে, পরম সুখে।
বুকের জমাট কষ্ট গলে বৃষ্টির জলের সাথে
টপ টপ করে ঝরেছিল সেদিন প্রিয়তির
দীঘল কালো চুলের ডগা বেয়ে।
আজও প্রিয়তি বৃষ্টির জলে ভাসিয়ে দিতে চায়
বুকের নদীতে ভাসমান কষ্টের নৌকা।
বৃষ্টির জলে ধুয়ে দিতে চায় প্রিয়তির
চোখের শ্রাবণ ধারা।
প্রিয়তির বুকে আছড়ে পড়ে এখন
এমনি অনেক ইচ্ছেজলের ঢেউ
বন্দী প্রিয়তির ইচ্ছেগুলোর নেয় না খবর কেউ
কারণ সে যে এখন শুধু চিলেকোঠার বউ।


১৩-৩-২০১৭