হেমন্তের হিম কুয়াশার মতো হুড়োহুড়ি করে
দারুণ দাপটে দুঃখরা হৃদয়ে হানা দেয়।
অসহ্য অগ্নির আঁচে পোড়ায় অন্তর। নিরন্তর-
চলে আমাজনের দাম্ভিক দাবানল। শিরায় শিরায়-
চলে আগুনের স্রোত লাভার ধরণে। উদগীরণের-
পথে পাহাড় সমান পাথর পারে না ঠেলেঠুলে
হতে নিয়ত নির্গত নিসর্গের উন্মুক্ত উঠানে।


সুখের যে নদী তুলতো তরঙ্গ শিরায় উপশিরায়
নাই সে নদীর নামনিশানা এখন। বুকের জমিন-
ধারণ করতো যে ফসলের দুরন্ত ঢেউ সেখানেও
অনুভূত অকাল গ্রহণ। কৃষকের শ্রমসূচি হাত এখানে এখন
একেবারেই হয়েছে অচঞ্চল। কীটদষ্ট গাছের শেকড়,
জবার পাপড়ি, নিষ্ফলা ধূসর ধানক্ষেত হামেশাই-
দেয় সকরুণ মৃত্যুর সংকেত। তবুও তোমার সুকুমার
হৃদয়ের স্পর্শে শিহরিত হতে ঢকঢক করে পান করি
মৃত্যুর আতঙ্কে দ্রবীভূত কষ্টের বিস্বাদ বেনুজল।
০৬-১১-২০২১