পরিযায়ী পাখির মতন ডানা ঝাপটে প্রগাঢ়-
অন্ধকার নিয়ে নেমে আসে বিরহের রাত। নিদ্রা ভোলা -
চোখ বেয়ে নেমে আসে শ্রাবণ জলের মতন লবণ-
জলের অরোধ্য ধারা। বাধাগ্রস্ত পয়ঃপ্রণালির
জলে ডোবা পথের মতন বেদনার স্রোতে সয়লাব-
হয়ে যায় হৃদয়ের পথঘাট। কর্নিয়ায় আঁকা স্বপ্নরেখা
ধুয়েমুছে দিকচিহ্নহীন নদী হয়ে যায় ব্যথার প্লাবনে।


কিছু স্বপ্ন তবুও ঘুমিয়ে থাকে বুকবালিশে আহ্লাদী -
বিড়ালের মতন নিশ্চিন্তে। স্মৃতির শাখায় ঝুলে -
থাকে শরদিন্দুর মতন কামনার কিছু অপুষ্ট পরাগ।
তোমাকে স্পর্শের অদম্য ইচ্ছার অদৃশ্য আঙুল প্রসারিত -
হতে হতে যখন দুঃখের দ্রাঘিমায় পৌঁছে, তখন অলক্ষ্যে-
মিলে যায় মনবিরহের দূরত্বের মানসাঙ্ক।
স্পষ্ট হয়ে ওঠে, চাওয়া এবং পাওয়ার  অমিলের খতিয়ান।


অতঃপর পাতাঝরা বৃক্ষের মতন সারি সারি
দুঃখের ক্লোরোফর্ম বোতলে ঢুকে অচেতন হয়ে -
যায় এক সময়ের অকৃত্রিম অভিপ্রায়ে প্রসারিত-
স্পর্শপাগল ইচ্ছার আপ্লূত আঙুল। মমির কফিনে-
চেতনা রহিত এসব আঙুল কষ্টের কাঁচিতে-
এখন যতই ব্যবচ্ছেদ করো, বিনষ্ট ব্যথায় কোঁকাবে না আর
কিংবা স্পর্শের নেশায় ওঠবে না জেগে অসীম আবেগে।
০৪-১২-২০২১