প্রতিটি প্রসক্ত জন্মদিন আসে রজনীগন্ধার সুকুমার
সুবাসের মতো। মোমের আলোয় ফু দিয়ে অতীত বেদনার
ধুলির আস্তর সরিয়ে আলোক উদ্ভাসিত জীবন লাভের কী
প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা আমাদের! অথচ কতটা বেখবর
আমরা মানুষ! ব্যতিব্যস্ত জীবনে সন্ধ্যার সূর্যাস্তের
ধূসর আয়োজনের মতো, শীতাহত বৃক্ষের পাতা ঝরার মতো,
নীড়ে ফেরা পাখির পালক খসে পড়ার মতো নিঃশব্দে খসে পড়ে
একটি একটি করে জীবন বৃক্ষের পাতা। প্রত্যাশা এবং -
অপ্রাপ্তির প্রখর যন্ত্রণা পুড়িয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিয়ে যায়
জমির ফসল। বিপুল বেদনা ভারাক্রান্ত বৃন্ত থেকে ঝরে যায়
কতশত আশার কুসুম। করতলে আঁকা সোনালি আয়ুর রেখা
ছোট হতে হতে একদিন উদ্ধত মানুষবৃক্ষ নত হই
ক্ষতগুলো বড় হতে হতে ধানশিষ যৌবন ফুরায় তার
অতঃপর বয়সের বলিরেখা ধরে হেঁটে হেঁটে হয়ে যাই মাটির আহার।
বেমালুম ভুলে যাই-
জন্মদিন মানেই হাজার ঋণ রেখে অপ্রিয় সত্যের
চিরন্তন বিধানে মৃত্যুর কাছাকাছি আসা; না ফেরার
ধ্রুব অঙ্গীকারে, হিজল ফুলের মতো সময়ের স্রোতে ভাসা।
০১-০১-২০২২