দুঃখরা শিশুর মতো হামাগুড়ি দেয় বুকের পাঁজরে
আর কারো কবিতায় খুঁজো জীবনের মিল। আমার অন্তরে-
অসহ্য যন্ত্রণা ঢেলে দিয়ে ভাবলেশহীন জীবন কাটাও।
চোখে কামনার চকচক জানি না কোন অলীক সুখে!


দূরের ঘাস সবসময় সবুজই মনে হয়। বুকের জমিনে-
গজানো অসংখ্য আকাঙ্ক্ষার চারা লাগে মলিন ধূসর।
বাড়ির গরুর কোলার ঘাস পছন্দ নয় এসব প্রবাদে-
তাত্ত্বিক সত্যতা থাকার প্রমাণ মানুষই দিয়ে যায় বারেবারে।


বিশ্বাসে নিঃশ্বাস পড়েছিলো ঘাড়ে একদিন। ওড়েছিলো-
মেঘবতী চুল অথই আনন্দ সমাহারে। আজ এ নিঃশ্বাসে-
বিষাক্ত কার্বন, বিরক্তিকর ও বেতমিজি আচরণ।
বন্দী পাখির রুক্ষ গতর বলেই কি নজরে এখন
নাদুসনুদুস বনকবুতর?


চোখের দৃষ্টি হারালে অনুমান করে হাঁটা যায় অচেনা পথেও
মনের দৃষ্টি হারালে চেতনার গলিপথে জমে যে আঁধার
সে আঁধারে নিজেকেও দেখা যায় না, পাওয়া যায় না-
কস্মিনকালেও আপন সত্তার সঠিক সন্ধান।
এমতাবস্থায় অন্তরচক্ষুর চিকিৎসা অতীব জরুরি।
৩০-১০-২০২১