বেদনাকে দিয়েছি বিদায়; মৌন মুখরতায়-
তবুও বেদনা কিছু নিলাজের মতো বুকের দেরাজে থেকে যায়।
বালুকা বেলায় ঝিনুক কুড়ানিদের মতো কুড়িয়েছি সুখ দিনময়
বাড়েনি তবুও মনের গোলায় এতটুকু সুখের সঞ্চয়।
ইঁদুরে খেয়েছে সকল ফসল; জীবন এখন হেমন্ত শেষের
খড়কুটোহীন ধূসর বিরান মাঠ, রোদজ্বলা ঘাস;
শেষ হয়ে আসে তারা জ্বলা রাত; তবুও হয় না শেষ
দুর্বোধ্য ও দীর্ঘতর বেদনার সিলেবাস।
চোখে, নখে, শরীরের ঘামে, নামে ও বেনামে, চুলে ও আঙুলে
বেহায়া বেদনা লেগে থাকা জোঁক;
রক্ত খায়, শক্ত হয়, বেড়ে ওঠে বেদনাবিটপি-
মূলরোম তার আহার্য সাধনে শুষে নেয় জীবনের সুখ।
আজ যে অথই অন্ধকার দুচোখের সীমানায় সে আঁধার
কেটে যাবে জানি; আশার চাদরে চোখ বেঁধে
যাচ্ছি টেনে তাই সীমাহীন বেদনার ঘানি। নিষ্প্রদীপ সন্ধ্যা-
আলোকিত হবে; আসবে কাঙ্ক্ষিত আলোর প্রহর
হাসির জলতরঙ্গ লুপ্ত এ শহরে একদিন শোনা যাবে সুখের কিন্নরী কন্ঠস্বর।
১৩-১১-২০২১