আমার দেহের ভিতর রক্তের সাথে
একফোটা কষ্টের পারদ ভেসে বেড়ায়
মাথা থেকে পায়ের পাতায়
জালের মতো বিস্তৃত শিরা উপশিরায়;
ফুসফুসের বাতাসে জারিত হয়ে
হৃৎপিণ্ডের রক্তগঙ্গায় অনবরত
ঘুরে বেড়ায় আর যন্ত্রণার আগুনে ছাই করে
আমার হৃদয়ের গভীরে লুকানো স্বপ্ন।


আমিতো জন্ম থেকেই কষ্টের সাগরে ডুবে আছি
আজন্ম কষ্টের পাথর ঠেলে ঠেলে
গুবরে পোকার মতো মাথায়
কষ্টের বোঝা নিয়ে হেঁটেছি অন্ধকারে
কই, কোনদিন তো এতো কষ্ট পাইনি?


এখন কেন কষ্টে আমার বুকে
যন্ত্রণার বান ডাকে;
কেন কষ্টের বিষবাষ্পে আমার
নিঃশ্বাস বন্ধ হয়, প্রাণ হয় ওষ্ঠাগত;
কেন কষ্টের তীব্র দহনে আমার
চোখ পুড়ে লাল হয়?


অসংখ্য কষ্টের মাঝে ডুবে থেকেও
আমিতো কোনদিন এমন কষ্ট পাইনি
মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে কষ্টে আমার
চোখে জল আসেনি কোনদিন;
এখন কেন কষ্টে আমার মাঝরাতে ঘুম ভাঙ্গে;
কেন আমার বুকের গভীরে কন্নার ঢেউ ওঠে?


কত দিন কত রাত উপুস থেকেছি
খাবার বিহীন দেহকে কষ্ট দিব বলে
ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাতর হয়েছি কতবার
তবুও কষ্ট পাইনি ভুলে।


আমিতো শুধু তোমাকে ভালোবেসেছি
তাহলে ভালোবাসা কি কোন কষ্টের নাম;
নিঃস্বার্থ ভালোবাসা কি খাবার ছাড়া
উপুস থাকার চেয়েও বেশি কষ্টের?


ভালোবাসার প্রতিদানে কষ্ট পাওয়া
জানি অনেক কষ্টের হয়
তবুও কেন জানি মনে হয়
নিজেকে মানুষ হিসেবে জগতে
মেলে ধরা আরও বেশি কষ্টের কাজ।
কেননা মানুষ হয়ে মানুষের মাঝে
বেঁচে থাকার জন্য চাই ভালোবাসা
আর সেই ভালোবাসাই আজ
আমার বুকের গহীনে
কষ্টের পারদ হয়ে ওঠানামা করে।