ফাগুন!
সে'তো বিলুপ্তি'র দিগন্তে,
রঙচটা অম্বরটাও পূর্বের ন্যায় আর জ্যোতিষ্ক না, ঘন কালো আঁধারেও আর তেমন বিদ্যুৎ চমকায় না, মিছে অহমিকার কালো ডানায় ভর করে আর কতদিন? আর কতদূর?
একটু ভেবে দ্যাখো।


নিরামিষে জীবন! সে'তো হবেই,
চুনেপুড়া মুখ দই'-এর ভয়ে পলাতক,সে'ই কবেই।
অন্তঃফুল কালচে রেখে সতীসাবিত্রীর বা দুধে ধোয়া তুলসিপাতার এবংকি স্বচ্ছতার চালচিত্রে মহানায়কী প্রতিবিম্বপাত বড়ো'ই বেমানান।
কালো ভ্রমর'ও মুখ ফিরে যাবে,
রঙিন প্রজাপতি? সে'তো দূরবস্থান।


অন্তঃগর্ভে সাম্যবোধ লালিত হলেই তবে---সাম্যবাদের কাব্য লেখো। দেবী পূজারী! কুলটাচারণ নয়তো? লিঙ্গভেদে তো তুমিই সমুচ্চে, অতিরঞ্জনে এতটা নিম্নগামী তবে কিসের মোহে গো..
ও দেবী তোমারও স্থান উপরে নয় লিঙ্গভেদে। বরং মিছে অহমিকার ডানা ছেড়ে নামতেই হবে।
পদার্পণ করে দ্যাখো..
মাটির বুক ঘেঁষে পিঁপড়া কেমন দূর্বাঘাসের তলদেশে দলবলসমেতে হাটে দ্যাখো।
তাদের থেকেই শেখো।।
_____________
স্বত্বসংরক্ষিত, রচনাকালঃ ২৪/০৫/১৭ইং