আসমান থেকে পড়িনি! জন্মেছি আমি মানবকুলেই,গজায়নি আমি তরূর ন্যায়
মৃত্তিকাভেদে বা কোন এক বৃক্ষকাণ্ডে।
তবে- কেন সইবো আমি অহেতুক তোমাদের ঐ স্বার্থের কুঠারের ঘা একের পর এক বিনাদণ্ডে?
আমার আদর্শ বটবৃক্ষের ছায়া'তে
পাইনি এমন অশান্তির শিক্ষা,
আর যে মমতাময়ী মাটির আদলে আমার
বেড়ে ওঠা তাতেও পাইনি কভু এমন-
অনুভূতিশূন্য বা পাশবিক দীক্ষা।
না...না, পারবো না আমি!
তোমাদের সারিতে আর থাকতে,
এ আমার দ্বারায় হয় না, হয়নি আর হবেও না- ঐ দন্তায়ুধ'এর ন্যায় নর্দমার জল লীঢ়'তে।
নিন্দার বাতাস যে আমার সয় না!
স্বত্বা'র গা ছুঁইলেই যেন মরে যাই বারংবার,
পারবো না আমি রক্তচোষা'বাদুড় হয়ে-
মানুষের রক্তচোষ'তে।
পারবো না আমি স্বীয় আয়নায়-
বিকৃতমূর্তি আঁকতে,
হ্যাঁ তবে- আঁকবো ঠিকই আমি শিল্পরুচিসম্মত সাম্যচিত্রে স্বীয় স্বত্বা'কে আর
অকৃত্রিমরূপে প্রকৃতির মাঝে ভিড়তে।
তখন ভুল করেও ভেবো'না- আসমান থেকে পড়লাম?