চতুর্দিকে প্রতিযোগিতার ভিড়
গায়ের তাপে রক্তচাপে তপ্ত মোর শির,
ঠেলছি কাদের? সমুখে যারা!
চারপাশ পিষ্ট করতে বুক কাঁপছে না ঐ বেদুঈনের ঘোড়ার, সোনার হরিণ বুঝি শিকারির হস্তে পড়লো ধরা নচেত্ নির্ঘাত মারা।


বেশ লম্বা দীর্ঘশ্বাস...!


মানব সত্ত্বা  বড়োই নির্বোধ,
নির্লজ্জ লেজ গুটিয়ে থাকা রাস্তার ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত পশুর ন্যায় নর্দমার জলও বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে পরমান্নের স্বাদবোধ।


গায়ে লাগে না কিঞ্চিত্ও নিন্দার বাতাস...!


প্রতিযোগিতার ভীড়ের চাপে তাপে
বেরিয়ে আশা দুর্গন্ধময় ঘামের জলকণা
চাতকের ন্যায় ঠোঁট স্থাপিত করে একটু
একটু চুষে নিয়ে করছি পান ,
কভু ঘাম আধিক্যে গড়ালে তাতে চিনি গুড় মিশ্রিত করে চিনিগুড়া ছাড়াই ক্ষীর তৈরির অপচেষ্টায় করছি ক্ষীরের অপমান।


বেহায়া চিত্ত উদর রয় না উপবাস...!


অন্তর হ্যামিলন,ব্যক্তিসত্তা বাঁশিওয়ালা যেন আজকাল বেরসিক সুরে লালসার বাঁশির মোহিতে মাতোয়ারা,
ইঁদুরের মত ছুটছি প্রতিযোগিতার ভিড়ে লাফিয়ে পড়ছি অথৈ জলে হয়ে দিশেহারা।


  অবশেষে হায় হায় ঢঙে হুতাশ...।।
.................................................
স্বত্বসংরক্ষিত, রচনাকালঃ ৮/৪/১৭ ইং