এখন নীশি রজনী,
সুবেহ সাদিকের পূর্বক্ষন,
সবাই ঘুমে বিভোর,এমনকি তুমিও।
জেগে আছে মেঘলা আকাশ,
অনবরত বৃষ্টি,
আর বাতায়নে অপলক চাহনীতে,
তোমার কথা ভেবে ভেবে
বৃষ্টি উপভোগ করছি।
ভেবে দেখো সারাটা রাত
আমার বিনীদ্র রজনী৷
এভাবে কত রাত যে
গত হল স্রষ্টা মালুম।
ভাবছিলাম দম্ভ ভুলে অহংকার পায়ে টেলে,
ভ্রান্ত পথ সুধরে, আমার কাছে আসবে,
আহবান করবে তোমার কোমল বুকে।
এ ছিল আমার ভ্রান্ত ধারণা।
দেরীতে হলেও আমি বুঝলাম,
তুমি আর আমার নয়।
এক মাত্র অর্থ নামক কালনাশি,
আমার প্রেমকে দুমড়ে মুচড়ে
অহংকারের মেরু করণে পরিনত করেছে।
নিরাশার জলধারে আশার স্বপ্ন দেখা,
বোকামী ছাড়া কিছু নয়।
মন আজ আশাহত।হৃদয়ে রক্তক্ষরন,
নীরব নয়ন বারী।আর কত?
এবার চলি আপন পথে,
তাই বৃষ্টি আমায় বলল চরম পত্র লিখতে।
তাই এ লিখনী।
নিশ্চয় বিকাল ৪টার মধ্যে এ লিখনী তোমার নজরে আসবে।
যদিও না আসে, কি আর হবে।
আমি তোমার জীবন থেকে অদৃশ্য হয়ে যাব,
৪টা ১ মিনিট পূর্বে।
আজ দুজনার দুটি পথ দুটি দিকে বেঁকে যাক,
হয়তো জীবন নিয়ে বেঁচে থাকা যাবে।
ভালো থেকো ও আমার নন্দিনী।