শোন প্রজন্ম-
আমার হৃদয় স্পন্দন ,
আজ বড় উতালা ,
জীবন যবনিকা ঘটবে হয়তো এখনই ।
কোথাও যেও না তোমরা –
তড়িৎ সৎকারের ব্যবস্থা করতে হবে তো ।


আমার মেয়েটা হয়তো একটু বেশী কাঁদবে,
ধমক দিওনা তারে –
আমি তো বন্ধু পিতৃ ছিলাম তার ,তাই হয়তো ---
আমার কর্ম আমার লিখনী দিয়ে,
বানবাসী মানুষগুলোর কিছুই করতে পারিনী বটে-
ক্ষতি ও করিনী ।


মৃত্যুর সংবাদ শুনে তবু তারা ছুটে আসবে,
তুমি শোক কে শক্তিতে পরিনত করো ,
হিম কণা রক্ত জমাট হওয়ার পুর্বে,
অস্থায়ী এ নিবাস থেকে, স্থায়ী নিবাসে আমায় জলদি শয়ন করাইও ।
বিস্মৃতির গহ্বরে অনির্বান স্মৃতি,
রোমন্থন করার সময় এখন নয় ।


জলদি চুলো জালো
বরই পাতার গরম জল সিদ্ধ করো,
অতৃপ্ত এ দেহ ধুয়ে দাও ।
ও ভুলে গেছি—
আগে কবর খুড়তে বলো,
কান্না থামাও তোমরা,কি হবে আর কেঁদে !
এ বিদায় শেষ বিদায়,আসিবো না আর ফিরে ।


আমার নির্বাক মুখ বারংবার দেখো না,
তুলে নাও কাধে লাশ, আল্লাহু রাব্বি মুহাম্মদ নবী, এ দোয়া এখানে পড়োনা ।
নিয়ে যাও আপন বাড়ি । অন্তরে আমার মাগফেরাৎ কামনা করি ।  
যদিও কখন ও স্মরণে আসে,আমার সু কর্ম করিও বয়ান,
আমি ক্ষমা করেছি সবাইকে,
আমায় ক্ষমা করার বিনীত অনুরোধ করিও ।
মনুষ্যত্বের ভেদাভেদ ভুলে,মনুষ্যকে ভালবেসে,
সদা স্রষ্টার নাম জপে ,
সুখময় জীবন গড়ো,এ আমার ইতি কথা ।