সকালের সোনালী আলোয়
আমার জননী গাঁ যেন স্বরূপে ঝলমল এক অপ্সরী ।
নদী-ঝিল,খাল-বিল ঢেউহীন চিকচিক জল সভ্য ছেলের মত
নেই কোন ঢেউ।
ক্ষনিক পুণঃ ক্ষনিক দামাল মৎসের
দুষ্টমীতে জলের নীরবতা ভঙ্গ,
সারি সারি হাঁসের মিছিল
শিকারী পাখীর ওৎ পেতে থাকা,
লাঙ্গল কাঁধে কৃষানের পাগড়ী মাথায়, গরুর পিছনে  ছুটে চলা।
এমন দৃশ্যের বর্ণনা সাদা কাগজে নিবের
আছড়ে কি বলা যায় ?
দ্বি-প্রহরে তীর্যক আলোতে বঙ্গ মাতার অন্য রূপ ধারণ,
উত্তপ্ত আলোয় ব্ট বৃক্ষের ছায়ায়
মায়ের আঁচলের পরশ মাখা হাওয়া, কলিজ্বা শীতল পতিকের মন ।
আহারে জননী কেমনে করি তোমার রূপের বর্ণনা ?
পৃথিবীতে শুধু একটি তুমি প্রিয় বাংলা মা ।
বিকালে কোমল রোদে মিষ্টি আলোয়,
অনন্য রূপে জননী দেখে,আমি তটনী হারাই যেন আমার চিরচেনা তট ।
সপ্ত রঙের বসনে আহ্লাদি অম্বরী,
আমায় ডাকছে মায়ার সূরে ।
নাচেরে মন আমার উদাম তনু বেহুদা বেতালে পলকহীন নয়নে
শুধু তাকিয়ে আমি রই।
হে স্রষ্টা আমি ধন্য
আমি গোরবান্বিত
এমন মায়ের  বুকে জন্ম আমার
জন্ম দিয়েছো বলে ।