দেশ তথা বিশ্বে, অলিতে আর গলিতে
জরুরী অবস্থার কারণে,
খেটে খাওয়া মানুষের নিত্য হাহাকার ।
ঈবাদতে মগ্ন মুসলমান,তবুও বিধি কেন বাম
অভাবির উদ্ধেগ চৌদিকে আতংক ভাইরাস করোনার ।
জরুরী অবস্থার দৈন্য,আয় শুন্য ব্যয় তীর্ণ
দু সন্তানের জনক দুলাল মিয়ার সংসার ।
দিন এনে দিন খাওয়া,আয় হীন উপোস হওয়া
ছেড়াপাল উন্মাতল অর্থ শূন্য হৃদি,
চিন্তারেখা ভালে,অনটনের ধাওয়া ।
ঘরে অভাবের আপদ,বাহিরে জরুরী বিপদ ।
তবু দু-মুটো অন্নের সন্ধানে,
হইল বাহির দুলাল মিয়া, নিয়ে কাঁধে আপদ ।


বন্ধ সব দোকান দালান,মানব শুন্য রাস্তায়,
কাহারে শুধাই অভাবের তাড়নায়,
মানুষ খুজে নাহি পায় ।
নীরবে  বসিয়া ললাটে রেখে হাত
অজস্রবারী ঝরিতেছে নয়নে ,
থামিল পুলিশের গাড়ি , নামিল পুলিশ
জিজ্ঞাসিল তারে---
ভাইরাস করোনায় জরুরী অবস্থায়, কি করিতেছো এখানে ?
দু সন্তান উপোস ঘরে,গৃহিনী আমার বিমারে মরে,
আসিয়াছি বাহিরে কাঁদিবার তরে,ওদের সামনে কাঁদি কেমন করে ?


জরুরী অবস্থায় ,আতংকে করোনায়, তবু চলে যাও আপন ঘরে,
নিরাপদ থেকো নিরাপদ রেখো ,প্রার্থনা করো স্রষ্টার তরে ।
উপদেশের বাণী শুনিয়ে পুলিশ,চলে গলে আপন টহলে,
নতশীর তুলে, আঁখি দুটি খোলে,দাঁড়াতে চাহিয়া দাঁড়াতে পারি না,
ক্ষুধার জ্বালায় আপন দেহ দোলে ।


এমন সময় আসিল, সেনাবাহিনীর গাড়ি
মুখে মাস্ক কেন নেই,কষে দিল বারি ।
ধ্পাস করে পড়ে গেলাম পিচঢালা পথে,
আরও কয়েকটা দিল বারি,হাত পা পিঠে ।
চিৎকার করিয়া কাঁদিতে চাহিয়া ,
কাঁদিতে পারিনী ঠোটে,
আসিয়া খাদ্যের সন্ধানে, ভংগুর দেহে এ ছিল আমার ললাটে!