কার আদর্শ হৃদয়ে ধরে বেড়ে উঠবে ছেলেপুলে
যদ্দুর চোখ যায় সুদখোর, ঘুসখোর, দূর্নীতিবাজ
সমাজ গুলো আজ হ'য়ে উঠেছে যৌনতার আখড়া
দাঁতে চেপে ধরে বুক যেনো ক্ষুধার্ত কাকড়া।


কর্মের খোঁজে স্বামী দূরদেশে দিয়েছে পাড়ি
চোখের সম্মুখে শেষ হওয়া টগবগে যৌবনের আহাজারি
নিশীথ রাতে উঠেছে মেতে স্ত্রী নিষিদ্ধ প্রেমে --
কার সম্পদ কাকে বিলিয়ে যায় ঘেমে।


স্বামীর আমানত আনন্দ চিত্তে করছে খেয়ানত --
ক্ষণিকের সুখে মাতিয়ে রাখছে নিজেকে --
স্বামী তাঁর খেটে যাচ্ছে দূর প্রবাসে দুদণ্ড সুখের তরে
আর স্ত্রী পরপুরুষের কামরসে ক্ষুধার্ত মন ভরে।


কার আদর্শ হৃদয়ে ধরে বেড়ে উঠবে ছেলেপুলে --
যদ্দুর চোখ যায় ধোঁকাবাজ,বেঈমান,ব্যভিচার--
নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে প্রতিটি পরিবার ---
রক্ষক হচ্ছে ভক্ষক, যেনো বিপজ্জনক তক্ষক।


শিক্ষকের কুদৃষ্টি ছাত্রীর উপর --
দেবরের রিরংসায় ভাবী ---
পিতার যৌনক্ষুধায় আহার কন্যা--
প্রতিবেশী যৌনসঙ্গকামনা গৃহবধূর --
শশুরের কামুকতায় পুত্রবধূ ---
দুশ্চরিত্রদের মুখ থেকে সুন্দর সুন্দর কথা ফোটে
যেনো মাখানো মিষ্টি-মধু।


ঘরের পাশে ঘর -- প্রবাসে থাকে বর --
নীরব দৃষ্টিতে দ্যাখে পড়শী --
রাতবিরেতে পরপুরুষের আনাগোনা।
কি করে দুর্ভিক্ষে পড়লো রুচি --
পরপুরুষের বুকে পরস্ত্রীর প্রতি গড়ে উঠে বসতি
মানুষ আজ রুচির দুর্ভিক্ষে আসক্তি।


পেতে পর-পতির অতৃপ্ত সুখ --
পূর্ণতা দিতে প্রতিষিদ্ধ কাম্যতা --
নিজ সন্তানকে ভেবে পথের কাটা --
জলে ডুবিয়ে, বালিশ চেপে প্রশস্ত করে নিতে চায় রাস্তাটা।


বেলা ফুরিয়ে শুরু হবে যে খেলা --
আটকে যাবে তোমার পারাপারের ভেলা --
ক্ষনিকের সুখে বসিয়েছিলে যে মেলা --
দ্যাখেছিলে কেবল রঙিন ফানুসের খেলা।