হে মানব
গর্ভধারিনী মায়ের প্রতি হইয়ো নাকো দানব।
দ্যাখো একবার ভেবে --
কিভাবে এসেছি মোরা এই ভবে।
পিতার নির্গত একশো মিলিয়ন শুক্রাণু --
যার মধ্যে সামান্যই হয় উর্বর --
সব শুক্রাণু পায়নি প্রবেশাধিকার --
ডিম্বাণুতে শতেক খেয়ে ছিলো ঘুরপাক --
স্রস্টার হুকুমে একটি পায় সেই অধিকার।
জীবনলাভের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে --
সঠিক স্থান নির্ধারণ করে দেয়ার পূর্বে --
ঘুরতে থাকে ভ্রুণটি মায়ের গর্ভে।
ছয় সপ্তাহে শুরু করেন শিশুর হৃৎপিণ্ড রক্ত পাম্প
মায়ের ঝরে শিশির বিন্দুর মতো ঘাম --
আট সপ্তাহে হৃৎপিণ্ড দেয় ১৬০টি স্পন্দন --
"মা" তোমাকে জানাই স্যালুট, অভিনন্দন।
গর্ভের বারো সপ্তাহের মধ্যে --
রক্ষা করতে গর্ভধারিনী মা' নিজেকে --
রক্ষা করতে গর্ভের শিশুকে --
হ'য়ে থাকে মায়ের বমি-বমি ভাব, কিছুটা অবসাদ।
ষোলো সপ্তাহে গঠন হতে থাকে শ্রবণেন্দ্রিয় --
শুনতে পায় মায়ের হৃৎস্পন্দন, নিঃশ্বাস,হাঁটা এবং কথন
হে আদম সন্তান গর্ভধারিণী মা'কে করিও যতন।
ধীরে ধীরে খুলতে থাকে চোখ --
দ্যাখতে পায় বাহির থেকে আসা আলোক।
দশমাস দশদিনে মায়ের উদরে মেরে লাথি --
ভেঙে মায়ের বুকের ছাতি --
নাম লিখিয়েছি পৃথিবীর বুকে মোরা শ্রেষ্ঠ জাতি --
মোদের নিঃশ্বাসে পুড়ে ভস্ম হয় অন্য প্রজাতি।