ভালোবাসার লাগি কি না ছেড়েছি
তোমাকে কাছে পাবার আশায় সব জলাঞ্জলি দিয়েছি
যখন আমার ভবিষ্যতের ভিত মজবুত করে নিজ পায়ে দাড়াবার সময়
তখন আমি ঘর ছেড়েছি, তাসের ঘরের সংসার বেঁধেছি।
যখন তুমি আমাকে তোমার করে পেয়ে নিলে
আমার প্রতি তোমার অবহেলার মাত্রা বেড়ে গেলো
দিনের বেলায় সংসারে গাঁধার খাটুনি খেটে
রাতে তোমার পাশে শুয়ে যখন কান্না করতাম
একটি বারের জন্যও বুকের সাথে জড়িয়ে ধরুনি
কাছে টেনে নাওনি, মাথায় হাত বুলিয়ে শান্তনা দাওনি।
তোমার এ অবহেলায় বুকের ভিতরে ঝড় উঠতো
দুমড়ে-মুষড়ে আসতো বুকের পাঁজর গুলো
রক্তকণিকা গুলো হিমশীতল হয়ে আসতো।
তোমাকে ছাড়া আমি কিচ্ছু বুঝতাম না, জানতাম না, চিনতাম না
ভালোবাসার মানুষের ভালোবাসার শীতল ছায়ায় সর্বক্ষণ থাকতে
এক রুখা জেদ আঁকড়ে ধরেছিল আমার মস্তিষ্ক
তাই সবকিছু মাড়িয়ে তাসের ঘরের বাসর সাজায়ে ছিলাম।
হাতের মেহেদীর রং না শুকাইতে ভেঙে গেলো ঘর
তুমি হয়ে গেলে পর, ধূসরতা বাঁধলো বাসা
কষ্টগুলো ডগডগিয়ে বাড়তে থাকলো বুকের ভিতর।
আমি নিজের পায়ে না দাড়িয়ে তোমার পায়ে ভর দিয়ে দাড়াতে চেয়েছিলাম, পথ চলতে চেয়েছিলাম
আজ তো আমার কাছে কেউ নেই, তুমি নেই
দশ মাস দশদিন পেটে লালন করে এতো কষ্ট করে জন্ম দেওয়া মেয়েটিও নেই।
যে ভালোবাসার জন্য বইখাতা ছিঁড়েছি, ঘর ছেড়েছি
সেই ভালোবাসা আজ ধূসর, উত্তপ্ত রোদে শঙ্খচিল হয়ে উড়ে
বড্ড আফসোস হয়, কি পেতে গিয়ে কি হারিয়েছি
মরীচিকাকে নক্ষত্র ভেবে বুকে জড়িয়েছি।
এমন কোন রাত নেই যে আমার চৈতন্যতায় তুমি আস না
এতোটা অবহেলা অবজ্ঞা করেছো তারপরও মন থেকে সরাতে পারিনি তোমায়
আমার মস্তিষ্কের প্রতিটি ভাঁজে তোমার স্মৃতি বাসা বেঁধে আছে।
তোমার এই অবহেলায় আজ কয়জন মানুষ কষ্টের দরিয়ায় হাবুডুবু খায়
কয়টি জীবন ভোর হবার অনিশ্চয়তায় রাত কাটায়
দগ্ধ হৃদয়ের আর্তনাদের গর্জন দীর্ঘশ্বাসে বেড়িয়ে আসে।
মাঝেমাঝে আমি সিদ্ধান্ত নিতাম হিমালয়ের মতো দাড়িয়ে থাকবো, সিদ্ধান্তে থাকবো অটল
কিন্তু পারিনি বারবার মন গলে যেতো তোমার মন ভুলানো কথায়।
তোমার মাঝে একটা শক্তি আছে, মন ভুলাতে তুমি খুবই পারদর্শী
ছলাকলা, ভাবভঙ্গি খুব ভালো করে আয়ত্ত করে নিয়েছিলে
এখন আমি ক্লান্ত খুবই ক্লান্ত, আর পারছি না এগুতে, আর পারছি না।


তারিখঃ- 02/02/22
আল জুবাইল, সৌদি আরব