ক্যান আইছস বাড়ি?
চলে যা এই ঘর ছাড়ি।
তুই কেটেছিস মোদের কান
তুই না থাকলেও খেতে পারবো মুরগী পুলাও রান।


এমন সন্তান পেটে ধরে এনেছিলাম ভবে
কলঙ্কিত হলো পেটের তোর কর্মকাণ্ডে।
এ বাড়ির ত্রি-সীমানায় যদি দ্যাখি কভু
মারবো তোর কপালে টুন্ডা ঝাড়ু।


কুড়ালের মতো দাঁত ভাসিয়ে
হাসিস ক্যানো বেশরমইম্মা খিলখিলিয়ে।
ভালো মানুষ অকস্মাৎ যায় মরে
তোর উপর খোদার ঠাডা যেন পড়ে।


আর যদি কভু খেতে আসিস ভাত
চলে যাবো তোর জাতের কপালে মেরে লাথ।
এই বাড়িতে হবেনা আর তোর ঠাঁই
মর গিয়ে খেয়ে ছাঁই।


গলায় কলসি বেঁধে মর-গে ডুবে
দাঁত কিড়মিড়িয়ে বলতো মোরে।
তোর ভাই চাচাতো ভাই চলে ক্যামনে
তুই চলিস য্যামনে ইচ্ছে এ্যামনে।


গাঁয়ে আছে হাজার পোলা
তোর মতো ক’জনা?
জনমের তরে ছাড়বি বাড়ি
বাড়ির নাম নিলে খাবি জুতার বারি।


তুই মরলে শান্তি পাবো
মুক্তি পাবো লোকের কথাশোনা থেকে।
ঘাড়ে বসে আর কতো খাবি
খেতে খেতে করলি তো শেষ।


বাপ-দাদার নাম ডুবিয়ে দিলি, কেটে দিলি কান
এখন তুই মুক্তি দে,বাঁচিয়ে নেই জান।
তোকে না খাইয়ে কুত্তাকে যদি খাওয়াতাম
আজ পেতাম খাওয়ানোর সেই দাম।


আঁতুড় ঘরে যদি মাইরা ফেলতাম তোরে
শকুনিরা ঘরে এসে কথা বলতো না জোরে।
রেললাইনে দিয়ে মাথা পারিসনি ক্যান মরতে
এমন সংবাদ পেলে আমি শিরণী যাবো মানতে।


তোর আগে গিয়েছে দুইজন কাঁপেনি এ বুক
তুই গেলে আসবে না ঘরে সন্তান হারানোর শোক।
সুখের রবি বলবে হেঁসে, গাও গান এখন সারা বাড়ি নেচে
আওয়ারা, বাউন্ডেলে, কুলাঙ্গার পরপারে গেছে।


নৃত্যের তালে হবে বৃষ্টি, পুরো উঠোন ভিজবে জলে
তাক ধিনা ধিন নাচবে সবে এমন খুশির খ্যাপনে।
যখন দ্যাখবে নতুন সূর্যোদয়ের নতুন ভোর
বিরহী কোকিল বদলে নিবে বিরহের সুর।


জুবাইল, সৌদি আরব
১২ মার্চ ২০২২ ইং।