হেমন্ত শিশিরে সবুজ পাতার শিরা উপশিরায়,
সদ্য কিশোরীর লাজুক পরশ,
ঘোমটা সরিয়ে সূর্যের উদার দানে,
কেটে যায় মনের জমাট আঁধার।


বহুমুখী মন বলে, কত কাজ রয়ে গেল বাকী,
হাজার মুখের অভিধানের শৃঙ্খলে,
কোথায় দাসত্ব করে সেই চোখ,
সে হারালো বুঝি কৃষ্ণচূড়ার বাঁকে,
হয়তো বা বনটিয়ার ঝাঁকে,
খুঁজতে খুঁজতে-
নির্বাক কত যুগ হয়ে গেল পার।


সহিষ্ণু প্রতীক্ষা মৃত চাদরের নীচে করে বিদ্রোহ,
অঙ্গীকারবদ্ধ শরীরী অণুকণা,
অভ্যস্ত নাগরিক যন্ত্রণায় এগিয়ে চলে,
তরঙ্গ ঘন সমুদ্রতটে,
লোনা ঢেউয়ের প্রতিধ্বনি বলে যায়,
সে কি ছিল কোনদিন একান্ত তোমার?