অনাহাটে আগত একটি সুন্দরী মেয়েকে দেখে ৷
দুটি ছেলে ধরল পিছন লালসার অসুখে ৷
তাঁদের পিছন অনুধাবিত ছিল একটি কুকুর ৷
ক্রমান্বয়ে এগোচ্ছিল তারা কিছু দূর ৷
আকস্মিক মেয়েটি কিনল বিস্কুট হাতে-হাতে ৷
মোড়ক খুলতেই ধপাস্‌ করে পড়ল দুটি পথে ৷
দূরের থেকে বুঝল কুকুর বোধহয় তাঁকে দিল ৷
আঁখিদ্বয়ে ফেলফেলিয়ে মেয়েটিকে তাই দেখল ৷
অনুধাবিত শুনের এবার আত্ম-ক্ষুধা মিটল ৷
খেয়ে-দেয়ে তথা হতে শুভ বিদায় নিল ৷


অপরদিকে,মেয়েটি ভাবল স্কুলের মাঠটা ধরে ৷
তাড়াতাড়ি,কম সময়ে পৌঁছে যাবো ঘরে ৷
সায়াহ্নের ফাঁকা মাঠে যেই দিল পাড়ি ৷
পিছু নেওয়া ছেলেদ্বয় করতে চাইল জোরাজোরি ৷
কোনো রকমে মেয়েটি ছুটে স্কুলের বারান্দায় দাঁড়ায় ৷
হঠাত্‌ মাঠে কুকুরীর খোঁজে সেই শুনটি এসে পৌঁছায় ৷
ছেলে দুটির ছুটা দেখে মেয়েটির পিঠ দেওয়ালে ৷
কারণ,এটাই উপযুক্ত সময় করতে কিছু আড়ালে ৷
ধীরে ধীরে আসছে তারা লালসাপূর্ণ মনে ৷
ফষ্টিনষ্টি করবে বলে সায়াহ্নের শুভ লগ্নে ৷


'বাঁচাও','বাঁচাও' আর্তনাদটি শুনল সেই কুকুর ৷
বিস্কুটের ওই প্রতিদানে মানবিকতায় হুজুর ৷
মেয়েটির ইজ্জত কলঙ্কিত করতে চাইল তারা ৷
ঠিক তখনই শুভ সন্ধ্যায় শুনের আক্রমণ করা ৷
বিফলে গেলো পূর্ণ লালসা,মেয়েটির প্রতি ধেয়ে ৷
ছুটতে লাগল তারা দু'জন বিষ-ব্যথায় চেঁচিয়ে ৷
ধন্যবাদ করল জ্ঞাপন মেয়েটি কেঁদে কেঁদে ৷
অক্ষত রাখতে তাঁকে মানবিকতার জেদে ৷
কর জোড়ে নমস্কার করল কুকুরটিকে ৷
ঘেউঘেউয়ে কুকুরখানা ভিজাল আঁখিদ্বয়কে ৷


ইতোমধ্যেই শুন কুকুরীর শুনতে পেল গলা ৷
মেয়েটিকে বলল,"ভয় নেইকো বিমলা ৷"
কুকুরীকে নিজের ভাষায় বলল সবটুকু ৷
কুকুর,কুকুরী এগোতে এগোতে দিল তাঁকে বকু ৷
এরপর সেই ফাঁকা মাঠে কুকুরীর আন্দাজ ৷
শুনের অনবদ্য কর্মের জন্যই গর্ব-বোধ আজ ৷
বাড়ি গিয়ে নাড়িনক্ষত্র সব বলল তার মা'কে ৷
'মা' ছাড়া এ জগতে তার কেউ ছিল না যে ৷
পরদিন কুকুরটিকে সে পেট পুরে খাওয়াল ৷
আর ভাবল,মৃত স্বজন হয়তো রূপান্তরে বাঁচাল ৷