গহীন গহনের মৃগয়া ভূমিতে অণ্ডজের সনে মৃগরা খেলা করছে ৷
নভোমণ্ডলের শুভ্র মৃগাঙ্ককে দেখতে পেয়ে সাদরে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে ৷
আগন্তুক সায়াহ্নকে অনুভব করে তটিনী যেন কণ্ঠ ছেড়ে গাইতে লাগছে ৷
আর সেই গীতে বলাহক সুহৃদ মারুত সুর-তাল-লয় দিচ্ছে ৷


বারণকে বারণ করা সত্ত্বেও সিঙ্গির সনে গিয়ে সেই সঙ্গীত শুনছে ৷
এমন বিরল অতুন দৃশ্য দেখে অটবিরা অবিরত স্কন্ধ নাড়াচ্ছে ৷
প্রাচ্যের বন্যফুলেরা স্ব-সৌরভ ছড়িয়ে মেদিনীকে প্রলুব্ধা করে ফেলেছে ৷
আর নিশাগমের বার্তা পেয়ে সন্ধ্যা রাশি রাশি জ্যোত্‌স্না নিয়ে আসছে ৷


প্রস্ফুটিত চন্দ্রালোকে নিশ্চল বনানী রূপালী বস্ত্রে সীমন্তনী সেজেছে ৷
তার লাবণ্যময়ী রূপাঙ্গিনী দেখে নৈশ-মেদিনী আত্ম-আত্মজা রূপে কল্পনায় ভেবেছে ৷
অপরূপা,যৌবনোচ্ছল অরণ্যানী কর জোড়ে মহীয়সী আকাশের নিকট অন্তিম প্রার্থনা মাগছে ৷
আর তাই বুঝি,আকাশ তারাদের দিয়ে আমাকে বলাল,"রূপাঙ্গিনী অরণ্যানী মোর অর্ধাঙ্গিনী হতে চাইছে ৷"